পরোক্ষ চ্যানেলে ভারতের সাথে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের সাথে উত্তেজনা কমানোর জন্য বন্ধু এবং কিছু প্রভাবশালী দেশের মাধ্যমে চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি ইসলামাবাদ সফর করেছেন। মঙ্গলবার তিনি নয়াদিল্লী সফরে যান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তিনি বিশেষ বার্তা নিয়ে গেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত অফিসিয়াল সূত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র অনুসারে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোদির কাছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই বার্তা নিয়ে গেছেন যে, পুলওয়ামা হামলার তদন্তের ব্যাপারে পাকিস্তান সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে পাকিস্তান আর ভারতের আলোচনা করা উচিত বলেও মনে করেন প্রিন্স সালমান। তিনি বিশ্বাস করেন যে, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কোন ধরনের সঙ্ঘাত লাগলে আঞ্চলিক শান্তির জন্য সেটা হবে ভয়াবহ।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, “ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও তিনি এ বার্তা দিবেন।প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ভারতের সাথে পরোক্ষ কূটনীতিও চালিয়ে যেতে চায় যাতে পুলওয়ামা হামলা এবং কিভাবে দুই দেশ একে অন্যের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনা করা যায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পাকিস্তান পরিস্থিতির কোন অবনতি চায় না এবং তারা এমনকি ভারতের সাথে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনার জন্যও প্রস্তুত।
পুলওয়ামা হামলার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও একই বার্তা দিয়েছেন।পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন যে, যদিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সম্ভাব্য পদক্ষেপের জবাব দেয়ার যে কথা ইমরান খান বলেছেন, সেটিকেও তুলে এনেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, কিন্তু তার মূল কথা হলো ‘বোঝাপড়া, সঙ্ঘাত নয়’।
ওই কর্মকর্তার মতে প্রধানমন্ত্রীর কথার মূল বক্তব্য হলো ভারত তার সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারে।ভারত অবশ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ‘সমঝোতার’ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে এবং পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের প্রাণকেন্দ্র’ আখ্যা দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, ভারত সরকার যেভাবে আগ্রাসী মনোভাব ধারণ করেছে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স সেটা প্রশমন করতে পারবেন বলে মনে হয় না।
পরিস্থিতি যেহেতু একটা সম্ভাব্য অচলাবস্থার দিকে যাচ্ছে, এ অবস্থায় এটা মনে করা হচ্ছে যে, কিছু দেশ নিরবে ইসলামাবাদ আর নয়াদিল্লী উভয়ের সাথেই যোগাযোগ করছে যাতে উত্তেজনা প্রশমন করা যায়।সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু পশ্চিমা দেশ দুই দেশের সরকারের সাথেই যোগাযোগ রাখছে বলে জানা গেছে।