পবিত্র পাগড়ী পরিধান করা দায়েমী সুন্নত মুবারক

পাগড়ী পরিধান করা দায়েমী সুন্নত

নবীজি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা পাগড়ী ব্যবহার করতেন।

পাগড়ীর পরিমাপ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অধিকাংশ সময় যে পাগড়ী ব্যবহার করতেন তা ছিল ৭ হাত লম্বা, যা পবিত্র হুযরা শরীফ (ঘর) হতে বের হওয়ার সময় তিনি পরিধান করে বের হতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার সময় এ ধরণের পাগড়ী ব্যবহার করতেন। পবিত্র হুযরা শরীফের মধ্যে যে পাগড়ী ব্যবহার করতেন তা ছিল ৩ হাত লম্বা।

কোন কোন সময় ১২ হাত লম্বা পাগড়ী ও ব্যবহার করতেন।

সাধারণত: বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন, পবিত্র ঈদ, পবিত্র জুমুয়া, জিহাদের ময়দান, ইত্যাদিতে এ ধরণের পাগড়ী ব্যবহার করতেন। সব ধরণের পাগড়ীর চওড়া কমপক্ষে আধ হাত হতো। (সিহাহ সিত্তাহ, সীরাত গ্রন্থসমূহ, শামায়েলে তিরমিযী, মাসিক আল বাইয়্যিনাত ৩/৪৫, ৩৬/৯৩)

পাগড়ীর রং : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাধারণতঃ কালো, সবুজ, সাদা, রং এর পাগড়ী মুবারক পরিধান করতেন। তবে কালো পাগড়ী মুবারক তিনি বেশী ব্যবহার করতেন। (শামায়েলে তিরমিয়ী, জাল বাইয়্যিনাত ৩৬/৯৩) তবে কখনো কখনো খয়রী রং এর পাগড়ী মুবারকও পরিধান করেছেন।

পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় উনার নূরুল হুদা (মাথা) মুবারকে কালো পাগড়ী মুবারক ছিলেন।

সিমলা : সিমলা ১ বিঘত থেকে ১ হাত হওয়া আবশ্যক এবং তা দু’ কাঁধের মধ্যখানে ঝুলিয়ে রাখা উত্তম। শিমলা ছাড়া পাগড়ী পরিধান করা বিজাতীয়দের লক্ষণ (শামায়েলে তিরমিযী, মাসিক আল বাইয়্যিনাত ৩/৪৫, ৩৬/৯৩)

রুমালকে পাগড়ী হিসাবে ব্যবহার করা : রুমাল দিয়ে পাগড়ী পরিধান করলে পাগড়ীর পবিত্র সুন্নত আদায় হবে না। কারণ পাগড়ীর এক মাপ ও রুমালের আরেক মাপ।

কাজেই, আমাদের সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো পবিত্র পাগড়ী পরিধান সহ যাবতীয় সকল সুন্নত মুবারক পালন করা।

লেখক ও গবেষক
আহমদ হুসাইন