নির্দিষ্টস্থানে কোরবানির অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে সাড়া দেয়নি জনগণ : ওলামা লীগ


ঢাকা: গতবারের মতো এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের নির্দেশনায় সাড়া দেয়নি রাজধানীবাসী। ফলে দুই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলোতে দেখা মেলেনি কোরবানির পশুর। রাজধানীবাসী বাসার নিচের গ্যারেজ, খালি জায়গা, রাস্তা ও গলির ওপর কোরবানি দেন। একই অবস্থা হয়েছে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে। গোশত-চামড়ার নিরাপত্তা, গোশত বহনে পরিবহন সমস্যা, চামড়ার সংগ্রহকারী মাস্তানদের উপদ্রব, পাবিবারিকভাবে কোরবানি করতে না পারার আনন্দ থেকে বঞ্চিত ইত্যাদি বিভিন্ন দুর্ভোগের কারণে কোরবানিদাতারা নিজ আঙ্গিনায় কোরবানি করেন।

শুক্রবার রাজধানীর এলাকায় মগবাজার, মালিবাগ, কমলাপুর, খিলগাঁও, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, সেগুনবাগিচা, আজিমপুর, সাতমসজিদ রোড, গ্রিন রোড, ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায়, এলাকাগুলোর বেশির ভাগ ‘নির্ধারিত’ স্থানে কোরবানির পশু জবাই হয়নি। মগবাজারের মধুবাগ মাঠ ছিল কোরবানি করার নির্ধারিত জায়গা। সকাল থেকে সেখানে কেউ যায়নি।

আজিমপুর এলাকায় দেখা যায়, রাস্তার ওপর শামিয়ানা টাঙিয়ে চামড়া কেনা-বেচা চলছে। অথচ ওই এলাকার কোরবানির নির্ধারিত স্থান হচ্ছে—আজিমপুর কলোনির ভেতর বিভিন্ন খেলার মাঠ, পলাশী আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারের খোলা জায়গা, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদসংলগ্ন আজিমপুর জনকল্যাণ সমিতির অফিস, আজিমপুর গার্লস সরকারি স্কুল ও কলেজের ভেতরে মাঠ। কিন্তু এসব জায়গার কোথাও কোরবানি দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি।

রাজধানীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি এলাকায় নির্ধারিত স্থানে কাউকে কোরবানি দিতে কাউকে দেখা যায়নি। দুপুর পর্যন্ত এখানে কেউ আসেনি।

রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডেও কেউ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করেনি।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, মহাখালী, উত্তরা, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্রই দেখা গেছে। বনানী ২৭ খেলার মাঠে বনানীবাসীর কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে করপোরেশনের লোক বসে আছেন। আছে প্রয়োজনীয় প্যান্ডেলও। কিন্তু কোনো গরু ও কোরবানির ছাগল নেই সেখানে। অথচ একটু দূরেই কোরবানি হচ্ছে রাস্তার ওপরে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহীম জানালেন, সকল প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কেউই এখানে আসেননি। পাশেই কোরবানি হচ্ছে ২৭ নম্বর রোডের ৫৫ নম্বর বাড়ির সামনে। তিনটি গরু কাটা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। মাত্র ১০০ গজ দূরের মাঠে না যাওয়া সম্পর্কে তারা বলেন, সবাই বাড়ির সামনেই কোরবানি দিচ্ছেন। মাঠে তো কেউই যাননি। তাই আমরাও যাইনি।

উত্তর সিটির মেয়রের নিজ এলাকা পুরো বনানী আবাসিক এলাকা জুড়েই একই চিত্র। গুলশান ২ নম্বর চত্ত্বরের সামনের অফিস ও মার্কেটের সামনে হয়েছে কোরবানি ও গোশত কাটার উৎসব। কিন্তু গুলশানবাসীর জন্য নির্ধারিত গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের মাঠে কোনো পশু জবাই হয়নি। তবে মাঠের পাশের রাস্তায় তিনটি গরু ও একটি ছাগল জবাই হয়েছে। ইয়ুথ ক্লাবের পাশের মাঠে কোরবানি না দিয়ে রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছেন পাশের বাড়ির লোকজন। এখানকার অন্য সবাই বাড়ির গ্যারেজে পশু জবাই করলেও তারা কেন রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দিতে চাননি তারা।

কোরবানি নির্ধারিত স্থান প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দোলন করা ওলামালীগ সেক্রেটারী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২য় বারের মতো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে নগরবাসী। এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির সিদ্ধন্তে সাড়া দেয়নি নগরবাসী। নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তেমন সাড়া মেলেনি। রাস্তাঘাট যত্রতত্র যখন হিন্দুদের পূজামন্ডপ করা হয়, তখন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না কিন্তু মুসলমানদের কোরবানির স্থান নির্দিষ্ট করায় বৈষম্যের অভিযোগ উঠায় এবং কোরবানিদাতাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ওলামালীগ নির্দিষ্ট স্থান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। কোরবানিদাতাগণ নিদিষ্ট স্থানে কোরবানি করতে না আসায় ওলামালীগের আশঙ্কারই প্রতিফলন ঘটেছে। এরকম অযৌক্তিক ও হাস্যকর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আর যেন না নেয়া হয় এবং সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা না হয়।

ঢাকা: গতবারের মতো এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের নির্দেশনায় সাড়া দেয়নি রাজধানীবাসী। ফলে দুই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানগুলোতে দেখা মেলেনি কোরবানির পশুর। রাজধানীবাসী বাসার নিচের গ্যারেজ, খালি জায়গা, রাস্তা ও গলির ওপর কোরবানি দেন। একই অবস্থা হয়েছে দেশের বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে। গোশত-চামড়ার নিরাপত্তা, গোশত বহনে পরিবহন সমস্যা, চামড়ার সংগ্রহকারী মাস্তানদের উপদ্রব, পাবিবারিকভাবে কোরবানি করতে না পারার আনন্দ থেকে বঞ্চিত ইত্যাদি বিভিন্ন দুর্ভোগের কারণে কোরবানিদাতারা নিজ আঙ্গিনায় কোরবানি করেন।

শুক্রবার রাজধানীর এলাকায় মগবাজার, মালিবাগ, কমলাপুর, খিলগাঁও, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, সেগুনবাগিচা, আজিমপুর, সাতমসজিদ রোড, গ্রিন রোড, ফার্মগেট এলাকায় দেখা যায়, এলাকাগুলোর বেশির ভাগ ‘নির্ধারিত’ স্থানে কোরবানির পশু জবাই হয়নি। মগবাজারের মধুবাগ মাঠ ছিল কোরবানি করার নির্ধারিত জায়গা। সকাল থেকে সেখানে কেউ যায়নি।

আজিমপুর এলাকায় দেখা যায়, রাস্তার ওপর শামিয়ানা টাঙিয়ে চামড়া কেনা-বেচা চলছে। অথচ ওই এলাকার কোরবানির নির্ধারিত স্থান হচ্ছে—আজিমপুর কলোনির ভেতর বিভিন্ন খেলার মাঠ, পলাশী আজাদ স্টাফ কোয়ার্টারের খোলা জায়গা, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদসংলগ্ন আজিমপুর জনকল্যাণ সমিতির অফিস, আজিমপুর গার্লস সরকারি স্কুল ও কলেজের ভেতরে মাঠ। কিন্তু এসব জায়গার কোথাও কোরবানি দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েনি।

রাজধানীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি এলাকায় নির্ধারিত স্থানে কাউকে কোরবানি দিতে কাউকে দেখা যায়নি। দুপুর পর্যন্ত এখানে কেউ আসেনি।

রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডেও কেউ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করেনি।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, মহাখালী, উত্তরা, সেগুনবাগিচা, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্রই দেখা গেছে। বনানী ২৭ খেলার মাঠে বনানীবাসীর কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে করপোরেশনের লোক বসে আছেন। আছে প্রয়োজনীয় প্যান্ডেলও। কিন্তু কোনো গরু ও কোরবানির ছাগল নেই সেখানে। অথচ একটু দূরেই কোরবানি হচ্ছে রাস্তার ওপরে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহীম জানালেন, সকল প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কেউই এখানে আসেননি। পাশেই কোরবানি হচ্ছে ২৭ নম্বর রোডের ৫৫ নম্বর বাড়ির সামনে। তিনটি গরু কাটা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। মাত্র ১০০ গজ দূরের মাঠে না যাওয়া সম্পর্কে তারা বলেন, সবাই বাড়ির সামনেই কোরবানি দিচ্ছেন। মাঠে তো কেউই যাননি। তাই আমরাও যাইনি।

উত্তর সিটির মেয়রের নিজ এলাকা পুরো বনানী আবাসিক এলাকা জুড়েই একই চিত্র। গুলশান ২ নম্বর চত্ত্বরের সামনের অফিস ও মার্কেটের সামনে হয়েছে কোরবানি ও গোশত কাটার উৎসব। কিন্তু গুলশানবাসীর জন্য নির্ধারিত গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের মাঠে কোনো পশু জবাই হয়নি। তবে মাঠের পাশের রাস্তায় তিনটি গরু ও একটি ছাগল জবাই হয়েছে। ইয়ুথ ক্লাবের পাশের মাঠে কোরবানি না দিয়ে রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছেন পাশের বাড়ির লোকজন। এখানকার অন্য সবাই বাড়ির গ্যারেজে পশু জবাই করলেও তারা কেন রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো উত্তর দিতে চাননি তারা।

কোরবানি নির্ধারিত স্থান প্রত্যাহারের দাবীতে আন্দোলন করা ওলামালীগ সেক্রেটারী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২য় বারের মতো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে নগরবাসী। এবারো নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির সিদ্ধন্তে সাড়া দেয়নি নগরবাসী। নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তেমন সাড়া মেলেনি। রাস্তাঘাট যত্রতত্র যখন হিন্দুদের পূজামন্ডপ করা হয়, তখন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না কিন্তু মুসলমানদের কোরবানির স্থান নির্দিষ্ট করায় বৈষম্যের অভিযোগ উঠায় এবং কোরবানিদাতাদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ওলামালীগ নির্দিষ্ট স্থান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। কোরবানিদাতাগণ নিদিষ্ট স্থানে কোরবানি করতে না আসায় ওলামালীগের আশঙ্কারই প্রতিফলন ঘটেছে। এরকম অযৌক্তিক ও হাস্যকর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আর যেন না নেয়া হয় এবং সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করা না হয়।