নাসিরনগরের পৃথক মামলায় আসামী ২৪’শ

বি-বাড়িয়া: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে পোষ্ট করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বি-বাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ঘর-বাড়ি ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা যায়, ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে আটক রসরাজ দাসের (৩০) ফাঁসির দাবিতে গত রবিবার দিনভর বিক্ষোভ হয় নাসিরনগর উপজেলায়। এসময় একদল বিক্ষুব্দ জনতা হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া অন্ততঃ ১২টি মন্দিরে হামলা চালায়। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কাজল দত্ত ও নির্মল দত্ত বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এতে অজ্ঞাত ২৪’শ জনকে আসামী করা হয়।

এদিকে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের অপসারণ চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ।

রোববার রাতে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, পবিত্র কাবাঘর নিয়ে কটাক্ষ করার ষড়যন্ত্রমূলক ঘৃণ্য ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও একটি গোষ্ঠী কর্তৃক ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে রোববার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বি-বাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ। সামাজিক শান্তি ও ধর্মীয় চেতনা রক্ষায় ব্যর্থতাসহ নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্রুত অপসারন দাবী করা হয়।

এব্যাপারে বিক্ষুদ্ধ জনতার একাংশের সাথে কথা বলে জানা যায়, পবিত্র কাবাঘর নিয়ে কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত মুসলমানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের এই অপরাধীদের পক্ষে পক্ষপাতিত্বের নিন্দা জানাই।