দ্রব্যমূল্য: তেল ও চালের দাম বেড়েছে

Image result for তেল ও চালের দাম

ঢাকা: ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় তেল ও চালসহ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলেছে জানিয়েছে বিক্রেতারা। তবে শাক-সবজিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে বলে শুক্রবার জানালেন হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা। হাতিরপুলে মুদি দোকানি জাকির হোসেন বলেন, মিল পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারেও দুই ধাপে মোট চার টাকা বেড়েছে।

তিনি জানান, এসিআই গ্রুপের রাইস ব্রান তেলের পাঁচ লিটার বোতলের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিটি গ্রুপের তীর ব্রান্ডের সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৪ টাকা থেকে বেড়ে ৯৮ টাকায় উঠেছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা ইমরুল কায়েস জানান, বোতলজাত সয়াবিনের পাশাপাশি খোলা পাম তেলের দামও কেজিতে ৮ টাকা করে বেড়েছে। মেসার্স খায়ের অয়েল স্টোরের এই বিক্রয়কর্মীর দাবি, মিল পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা খোলা পাম তেল ৭৭ টাকায় বিক্রি করছেন, যা গত সপ্তাহ আগে ৬৮ ছিল।

কারওয়ানবাজার ও হাতিরপুলে নাজিরশাইল ছাড়া সব ধরনের চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, মিনিকেট ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় ও স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৪/৩৫ টাকা কেজি দরে। হাতিপুলের বিক্রেতা সোলায়মান মিয়া জানান, এক মাস আগেও তিনি ২৮ টাকায় স্বর্ণা চলের কেজি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা চাল কিনি মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে। তারা বলে, সরকার মোটা চাল কিনে, তাই দাম বাড়তি।”

হাতিরপুল বাজারে কেজিপ্রতি তেলাপিয়া ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১৩০ টাকায়, রুইমাছ ৩০০ টাকায়, কাতল মাছ ৩৫০ টাকায়, কোরাল মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির কিছুটা বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

হাতিরপুলে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ টাকা দেখা গেলেও কারওয়ান বাজারে তা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম ডজন একশ টাকায় পাওয়া গেলেও হাতিরপুলে বিক্রি হচ্ছিল ১০৫ টাকায়। গরুর গোশত আগের মতোই কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুলে।

শসা ছাড়া অন্য বাজারে অন্য সব সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। হাতিরপুলে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা ও কারওয়ান বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় শসা বিক্রি হয়। বন্যার পানিতে অনেক স্থানে শসার ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের এক শসা বিক্রেতা।