দেশে চাকরি হারাতে পারে দেড় কোটি মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লকডাউন ও কথিত সীমিত পরিসর’র কারণে চাকরি হারাচ্ছেন কর্মজীবীরা। কমছে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগও। হতাশ হয়ে পড়ছেন তরুণরা। এর কারণ হিসেবে বাজারমুখী মানবসম্পদের অভাবের কথা বলছেন উদ্যোক্তারা। লকডাউন পরবর্তীতে বেকার সমস্যা প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করে অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, জোর দিতে হবে বিভিন্ন মেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর।

লকডাউনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটছে উৎপাদন ও সেবামুখী প্রায় সব শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিদিনই চাকরি হারাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। হঠাৎ বেকার হয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠী জানে না ঠিক কবে আবার তৈরি হবে নতুন করে কর্মসংস্থান। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমাদের মত অনেক যুবক এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। জানি না কবে আবার নতুন চাকরি পাবো।

গবেষণা সংস্থা পিআরই’র আশঙ্কা চাকরি হারাতে পারে দেশের দেড় কোটির বেশি মানুষ। আর ক্ষতির মুখে পড়বে প্রায় ৫ কোটি। বিডিজবস ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে সারকুলারগুলো কমে যাচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কমেছে। জুন মাসে নরমাল সময়ের তুলনায় ৫০ ভাগের মতো কম। চাকরি খোঁজটা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কমেছে।

দেশে বেকারত্বের হার যেখানে প্রায় সোয়া ৪ শতাংশ, সেখানে আবার সামনে এসেছে টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে কতটুকু? আইবিএফবি’র প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদ জানান, আমাদের নিডবেস এডুকেশন সেভাবে ফোকাস করতে পারিনি। মিড লেভেল ম্যানেজমেন্ট আমাদের দেশে সেভাবে হচ্ছে না। এ অবস্থায়, কর্মসংস্থানে লকডাউনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ও উৎপাদন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।