দেশের সব স্কুল-কলেজে আরবি পড়ানো উচিত: জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনি বলেছেন, ভালো মুসলমান হওয়া মানেই সবার মঙ্গল। আল্লাহ আমাদের প্রতি সহায়ক হোন। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা খুব খারাপ। শ্রীলঙ্কার মতো একটি শান্তির দ্বীপে আজ আগুন জ্বলছে, গণহারে দারিদ্র্য বাড়ছে। আমরা সেদিকে যাবো না তো? সবাইকে দোয়া করতে হবে, বাংলাদেশের অবস্থা যেন শ্রীলঙ্কার মতো না হয়।

জাফরুল্লাহ বলেন, কোরআন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতার বই। কোরআনকে বহুবার নোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত ছিল। আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য মুসলমানরা নিজেদের ভালোটা বোঝে না। ইসলাম যুক্তিতর্কের ধর্ম। ইসলাম বিজ্ঞানের ধর্ম।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ তরিকতে ইসলাম ঐক্যজোট আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রভাবমুক্ত হয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক চালাকি এবং কারচুপি বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, দেশের জন্য দোয়া করেন ভালো কথা। কিন্তু আপনি ভারতীয়দের ধারা আবৃত হয়ে আছেন। তারা আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যাবে এবং নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের ২৪ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত আছে, আর ঋণ আছে জনপ্রতি ৪৩২ ডলার। পত্রিকার খবরে এসেছে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ২০২৫ সাল থেকে ঠেলা সামলাতে পারবেন না। দেখেন, শান্তির দ্বীপ ছিল শ্রীলংকা, শিক্ষাদীক্ষায়ও ভালো। কিন্তু দেশটির আজ কী অবস্থা। আগুন জ্বলছে, গণহারে দারিদ্র্য বাড়ছে। আমরা সেদিকে যাবো না তো?

বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা খুব খারাপ উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখনো অনেকগুলো আলেম জেলে আছে। আপনারা কী করে এখনো চুপ করে আছেন আমি জানি না। এখনো তাদের জামিন হয়নি, আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন।

বাংলাদেশ তরিকতে ইসলাম ঐক্যজোটের সমন্বয়ক আনিসুর রহমান জাফরীর পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ তরিকতে ইসলাম ঐক্যজোট এবং পীর মাশায়েখ ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাহ সুফি শামসুল আলম চিস্তীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তরিকতে ইসলাম ঐক্যজোটের হানিফ নূরী, জাতীয় একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, এবি পার্টির সদস্য সচিব জননেতা মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ তারিক, আবুল বাশার খান্দানী, সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম শাহিন নুরী সুরেশ্বরী, পীর সামসুজ্জামান চৌধুরী (সজীব) ও শাহসুফী কাজি জাবের আহম্মদ আল জাহাঙ্গিরী প্রমুখ।