দুই কোম্পানিতে ঢুকতে পারলো না ডিএসই

নিউজ ডেস্ক :
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল এবং তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি কোম্পানি দুটির কারখানা ও প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে ডিএসইর পরিদর্শক দল এমন তথ্য পেয়েছে বলে সোমবার বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে পৃথক দু’টি বার্তায় ডিএসই জানায়, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল এবং তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের প্রধান কার্যালয় এবং কারখানা প্রাঙ্গণ উভয় বন্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি ডিএসইর পরিদর্শক দল। এতে অধিকতর তদন্ত করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সে হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর মাত্র তিন বছর পার করেছে কোম্পানিটি।

এরই মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময় পার হলেও গত ৭টি প্রান্তিকের আর্থিক হিসাব প্রকাশ করেনি এ কোম্পানি।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে তিনবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে কোনো বছরেই নগদ লভ্যাংশ দিতে পারেনি। প্রতিবারই লভ্যাংশ হিসেবে শেয়ার দিয়ে দায়ের পরিমাণ বাড়িয়েছে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারের দামেও। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ টাকা ৮০ পয়সায়।

২৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬২ দশমিক ১৯ শতাংশই রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার।

ডিএসইর পরিদর্শনে কারখানা ও প্রধান কার্যালয় বন্ধের চিত্র উঠে আসা অপর প্রতিষ্ঠান তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে। সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের মতো এ কোম্পানিও বিনিয়োগকারীদের কখনো নগদ লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দেয়া তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং ২০১৭ সালের মার্চের পরে কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। বর্তমানে পরিচালকদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে কোম্পনিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে, বর্তমানে এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ টাকা ৪০ পয়সা।

১০৬ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে ৩০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৩৪ শতাংশই রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার।