দলের লেবাস পরে মজুত করলেও ছাড় পাবে না : খাদ্যমন্ত্রী

দলের লেবাস পরে মজুত করলেও ছাড় পাবে না : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেউ দলের লেবাস পরে চালের মজুত করলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (১ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, মজুতদার এবং সন্ত্রাসী কোনো দলের নয়। দলের লেবাস নিয়ে মজুত করলে তারাও ছাড় পাবেন না। এটা আমি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি। আমি অন্ততপক্ষে মামলা করবো।

লেবাস-অলেবাস, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত নিয়ে কথা না, মজুতদার মজুতদারই। সে কোন দলের, সেটা আমার দেখার দরকার নেই, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে অনেক কাজ করেছি। আরও করার সুযোগ দিন। কোনো তথ্য পেলে মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য এসময় অনুরোধ করেন মন্ত্রী।

দেশের বাজার থেকে চাল কিনে প্যাকেটজাত করে তা আবার বিক্রি করা যাবে না বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, এজন্য একটি আইন করা হচ্ছে। এ সময় দেশের বাজারে চালের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি শিল্পগ্রুপকে দায়ী করেন মন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র বলেন, বিভিন্ন জেলায় আমরা অভিযান চালাচ্ছি। দিনাজপুরে একটি মিলে অভিযান চালানো হয়েছিল। সে মিলে যে পাক্ষিক ক্ষমতা দেওয়া আছে তার তিনগুণ সর্বোচ্চ তারা মজুদ করতে পারবে। এরমধ্যে একটি বাজারে যাবে, একটি উৎপাদনে, আরেকটি মজুত থাকবে। সেটার পরেও প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত ছিল। এটাকে সিলগালা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা করা হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ছয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যাগিং করে একই চাল যেটা ৬০ টাকা ৬৫ টাকা পড়ছে, সেটা প্যকেটজাত করে ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি করছে। একই সঙ্গে আগাম টাকা মিলারদের দিয়ে আসছে, এমনকি তাদের প্যাকেটও দিয়ে আসছে সেখানে নওগাঁ, দিনাজপুর, বগুড়া ইত্যাদি স্থানে। আমরা সেগুলোও বন্ধ করেছি। যেমন, মহাদেবপুরে আকিজগ্রুপ দুটো মিল ভাড়া নিয়েছে। ভাড়া যদি তারা নিয়ে থাকে তাহলে ভাড়ার যে মিলটি আছে সে মিলের ব্র্যান্ডেই কিন্তু চাল বস্তায় ভরতে হবে। সেখানে গিয়ে আকিজ গ্রুপের বস্তা পাওয়া গেছে, এটা আমরা জব্দ করেছি।

এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা চিন্তা করছি যে একটি সার্কুলার জারি করা যায় কি না। যারা প্যাকেট করে চাল বিক্রি করবে তারা দেশের বাজার থেকে কিনতে পারবে না। তারা ৬৭ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে আমদানি করে প্যাকেট করবে। এটা আলোচনা চলছে। কালকেও আমাদের মিটিং হয়েছে। আমরা এটার সামারি রেডি করছি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানোর জন্য। এটা নিয়ে কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য ও শিল্প সচিব- এ চারজন মিলে একটি মিটিং করবে ভোক্তা অধিকারকে নিয়ে, উপায় বের করার জন্য।

তিনি বলেন, তাদের যদি নিজস্ব মিল থাকে, তারা সেখানে প্যাকেট করতে পারবে। কিন্তু বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করে প্যাকেট করতে দেবো না। এটা বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ম্যাসেজটা, যেখানে তারা প্যাকেট করে সেখানে দেওয়া হয়েছে। এরা ছাড়া তো কেউ প্যাকেট করে না। খুচরা কিনে তারা প্যাকেট করতে পারবে না। মিল মালিকরা নিজস্ব প্রডাকশন বিক্রি করতে পারবে। নিজস্ব মিল থাকলেও সে তার লাইসেন্সে যে মজুতের বিধান আছে তার বাইরে মজুত করতে পারবে না। মিলের যে পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতা তার তিনগুণ সে মজুত করতে পারবে। এটা হলো রোলিং। এর বাইরে থাকলে সেটা অবৈধ মজুত।