থাইল্যান্ডে মুসলিম বন্দিরা সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার

thailand muslim prisonersডেস্ক: থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বহু মুসলিম বন্দি দেশটির সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে সরকার বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন চলছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সন্দেহভাজনরা থাই সেনাদের বেদম পিটুনির শিকার হচ্ছেন। তাদেরকে বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পুরোপুরি নিঃসঙ্গ অবস্থায় তাদের আটক রাখা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে এ ধরণের অন্তত ৫৪টি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এ সব ঘটনা ঘটেছে এবং এসবের বেশিরভাগই ঘটেছে থাইল্যান্ডের সামরিক শিবিরগুলোতে। আটক বন্দিরা দৈনিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর এ সব ঘটনাকে হিমবাহের অগ্রভাগ বলে মন্তব্য করেছেন এ সংক্রান্ত অন্যতম গবেষক পোর্নপেন খোনংতাচোনকিয়েত।

থাইল্যান্ডের মানবাধিকার বিষয়ক এ গবেষক আরো বলেন, দেশটিতে ২০১৪ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার পালা চুকিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের কাজের ওপর নজর রাখার গরজও আর নেই বলে জানান তিনি। ওই গবেষক বলেন, সব মিলিয়ে নিজেদের ইচ্ছা বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়ে গেছেন এ সব কর্মকর্তা।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিগত মালয়ী সংখ্যালঘুদের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে কয়েকটি গেরিলা গোষ্ঠী থাই সরকারর বিরুদ্ধে লড়ছে। গত এক যুগ ধরে এ লড়াই চলছে এবং এতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক ব্যক্তি।