ঢাকায় সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে : তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা (ইন্ট্রিগ্রেটেড মাস্টারপ্লান ফর ঢাকা সিটি) প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও করপোরেশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রথম মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ডিএসসিসির বুড়িগঙ্গা হলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মেয়র শেখ তাপস বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে এই প্রথম সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজকের মতবিনিময় সভার মাধ্যমে তার শুভ সূচনা হলো বলে আমি মনে করি। আমাদের যে অগ্রাধিকারভিত্তিক বিষয়গুলো রয়েছে, যেমন- কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা প্রতিষ্ঠা করা, নতুন আবাসিক এলাকা (টাউনশিপ) গড়ে তোলা, নদীর পাড় ঘেঁষে প্রশস্ত সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, খালগুলো সংরক্ষণ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবভিত্তিক সমাধানসহ নাগরিক সমস্যার টেকসই সমাধানে পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেগুলো আপনারা যথাযোগ্যভাবে সন্নিবেশ করবেন বলে আমি আশাবাদী।

শেখ তাপস বলেন, ঢাকাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য সংস্থা যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ বা প্রণয়ন করেছে সেসব মহাপরিকল্পনা আমাদের এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় সুষমভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ আইন অনুযায়ী নগরীর মহাপরিকল্পনার জন্য করপোরেশন দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এবারই প্রথম করপোরেশন থেকে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই একটি উন্নত ও আধুনিক মহানগরী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এ মহাপরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ওয়ার্ডভিত্তিক সমন্বিত উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা আমাদের মহাপরিকল্পনায় জমির যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা, সড়ক ব্যবস্থাপনা মহাপরিকল্পনা, নর্দমা অন্তর্জাল মহাপরিকল্পনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মহাপরিকল্পনা এবং সামাজিক সুবিধাদিসহ নগরবাসীর সামগ্রিক প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করবেন।

যৌথ উদ্যোগে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও সাতত্ত আর্কিটেক্টকে ৩০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্লান ফর ঢাকা সিটি প্রণয়নে গত ২৪ জুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। ১২ মাস মেয়াদে এই মাস্টারপ্লান প্রণয়নের লক্ষ্যে তাদের চুক্তিবদ্ধ করা হয়।