ঢাকায় শিলাবৃষ্টিতে আহত ২১, দুর্ভোগ মালিবাগ-কাকরাইলে

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: শিলাবৃষ্টিতে রাজধানীতে অন্তত ২১ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে থাকা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডা’র নেতা-কর্মী। আহতদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এরা হলো, রেজাউল করিম, সাইফুল হক জুয়েল, সুমন, সানজিদা, আকলিমা ও শিমুল খান। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের নায়েক রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শহীদ মিনারে আহত ১৪ জন ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ছয়-সাতজন ঢামেকে চিকিৎসা নিতে এসেছে।

প্রোভাইডার আহত কয়েকজন কর্মী জানায়, বিভিন্ন দাবিতে তারা সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে আমরণ অনশন শুরু করে। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

Santinagor (1)

নামমাত্র বৃষ্টিতেই দুর্ভোগ মালিবাগ-কাকরাইলে:

আজ বুধবার দুপুরে মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে রাস্তা তলিয়ে যায় রাজধানী ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে কাকরাইল মোড়ের আগ পর্যন্ত। হঠাৎ বৃষ্টিতে পথচলায় ছন্দ হারিয়েছে পথচারী ও গাড়ির যাত্রীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে চারদিক অন্ধকার করে ঝড়োহাওয়া বয়ে যায় রাজধানীসহ সারা দেশে, এর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফাগুনের প্রথম বৃষ্টিতে রাজধানীর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করায় পথের মাঝে বন্ধ হয়ে পড়ে একাধিক গাড়ি। রাস্তায় পানি থাকায় হাতে জুতা নিয়ে পথ চলতে হয় সবাইকে। কেউ কেউ মাঝে মাঝে পা তুলে জুতার পানি বের করে পথ চলে। পায়ে লাগা বৃষ্টির পানি অনেক ঠান্ডা বলেও জানায় ভুক্তভোগী সবাই। শান্তিনগর এলাকায় শুধু মেয়েদের একাধিক স্কুল-কলেজ থাকায় বেশি সমস্যায় পড়ে মেয়েরা ও তাদের অভিভাবকরা। অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। রাস্তায় খালি রিকশা থাকলেও কোনো রিকশাচালক যেতে চায় না বলে জানায় মগবাজার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইসা ও আনিলা। তবে এ সড়কে ফ্লাইওভারের কাজ চলায় অনেক গর্ত থাকায় গাড়ি চালাতে ভয় পাচ্ছে বলে জানায় চালকরা।

Rain Dhaka_hurt

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, দুর্ভোগে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে ঢাকার ভিক্ষুক, অন্ধ বা শারিরীক বিকলাঙ্গ মানুষরা। একেতো নিজেরা অচল, তারউপর সহযোগীর উপর ভরসা নিয়ে চলতে হয় অন্ধভাবে। খোঁড়া রাস্তায় পানি ভরে যাওয়ায় ভয়-শঙ্কা নিয়ে সাবধানে আন্দাজ করে পা ফেলতে হচ্ছে পথচারিদের।

অনেক প্রাইভেটকারও অচল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে। একটি প্রাইভেটকার অচল হলে ধাক্কা দেয়ার জন্য তিনশ’ টাকা দিয়ে দু’জনকে ভাড়া করতে হয়।

দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ১২টা ৫ কি ৭ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়। নামমাত্র এ বৃষ্টিতেই রাস্তায় চলাচলে যদি সমস্যা হয়, তাহলে কিছুই বলার নেই বলে প্যান্ট ভাজ করে হাঁটতে শুরু করে চাকরিজীবী তুহিন। আনুমানিক এক বা দেড় কিলোমিটার সড়কের পাশে সব সময় পানি জমে থাকে বলে জানায় ব্যবসায়ী বাদল। সে বলেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। এটি উন্নয়নের সাময়িক ভোগান্তি বলে আমাদের সান্ত¡না দেয় সবাই।#