জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার ২০ গ্রাম প্লাবিত

নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় টানা বর্ষণ ও জোয়ারে পানিতে বেড়িবাঁধের বাইরের ১১ ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। হাতিয়ার চারপাশে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণ, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়া উপজেলার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, চর কিং, হরনী, চানন্দী, নিঝুমদ্বীপ, জাহাজমারা, বুড়ির চর, সোনাদিয়া ও তমরদ্দি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিনাজ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ নেই তাই দুপুরে এখানে জোয়ারের পানি উঠেছে। এতে মানুষের তেমন ক্ষতি হয়নি। জোয়ারের ২ ঘণ্টা পরে আবার পানি নেমে গেছে। এখন স্বাভাবিক আছে।

 

হরনি ইউনিয়নের চতলা খাল পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, চতলা খাল এলাকায় ঠিকাদার বেড়িবাঁধ না করায় জোয়ারের পানি ঢুকে ছয় কিলোমিটার ভেতরে পানি প্রবেশ করে। ফলে ইসলামাবাদ, দক্ষিণ ইসলামপুর, মুফতি সমাজ, রহমতপুর, আহমদপুর, আলামিন গ্রাম, ফরাজী গ্রাম, শরীয়তপুর, গোবিন্দপুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ হকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, জোয়ারের কারণে বেড়িবাঁধের বাইরে দুপুরে পানি ওঠে আবার নেমে গেছে। আজ রাতেও আবার জোয়ার হতে পারে। যেহেতু বেড়িবাঁধের বাইরে প্লাবিত হয়েছে সেহেতু তেমন ক্ষতি হয়নি।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন, আমরা আজ সন্ধ্যায় সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু জোয়ারে বেড়িবাঁধের বাইরে প্লাবিত হয়েছে তাই তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তারপরও আমরা খোঁজ রাখছি। কোথাও কোনো ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।