জিয়া গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিশু অধিকার বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক ও রাজনীতির কাকদের সমন্বয়ে বিএনপি গঠন করেছিলেন।

আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা তাদের রাজনীতির মাঠের কাক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্যই তারা বিএনপি করেছিলেন। তাদের প্রত্যেকের অতীত কিন্তু ভিন্ন দল। মির্জা ফখরুল ইসলামের দল ভিন্ন। চট্টগ্রামের যারা নেতা তাদের দল ভিন্ন। আমি নাম বলতে চাই না। কেউ ব্যবসা করতেন, আবার কেউ অন্য দল করতেন। মওদুদ আহমেদের দল ভিন্ন। খোন্দকার মোশারফ হোসেনের দল ভিন্ন। বিভিন্ন দল থেকে রাজনীতির কাকদের নিয়ে যে দল গঠিত হয়েছে, সেটির নাম বিএনপি।’’

সদ্য সম্পন্ন হওয়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধস নামানো পরাজয় হয়েছে। তাদের নেতাদের ওপর কর্মীদের যে আস্থাহীনতা, তারা প্রচণ্ডভাবে জনসমর্থনহীন হয়ে পড়েছে। সেই ভয়ে তারা মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে নির্বাচন হয়েছে এবং সেখানে যে ভোটার টার্ন আউট হয়েছে- আমি মনে করি এটা অত্যন্ত ভালো। ৩২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে।’’

তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো জায়গায় হাঙ্গামা হয়নি, গণ্ডগোল হয়নি। মাত্র এক বছরের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। উপনির্বাচনে ভোটার টার্ন আউট কম হয়। এ ক্ষেত্রে মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচিত হয়েছেন এক বছরের জন্য। সেই কারণে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল।

এর আগে মন্ত্রী শিশু অধিকার বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নূর-ই-আকবর চৌধুরী।

আলোচনা করেন জাতিসংঘ শিশু তহবিলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা মাধুরী ব্যানার্জি, কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল উদ্দিন আল আজাদ, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ হাসিনা জাকারিয়া বেলা, কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী সদস্য রেহানা চৌধুরী প্রমুখ।