জামাতকে ঘুরে দাঁড়াতে দিবে না সরকার : আইনমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪, ঢাকা: নতুন করে জামায়াতের বাংলাদেশে কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে খুব শিগগরিই মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের দায়ের সংগঠন হিসাবে জামাতের বিচার করার জন্য আইনের প্রস্তাব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদে যাবে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

সরকারের কাছে খবর ছিলো জামাতের বিচার করার জন্য আইন করা হলে এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে নতুন করে দেশে অরাজকতা তৈরি করবে। সেই সুযোগ সরকার দিতে চায়নি। এই কারণে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় কার্যকর করার আগে সরকার কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চায়নি। নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার। এই অবস্থার পর এখন সরকার জামাতের অবশিষ্ট যে অংশ আছে সেটাও শেষ করার চেষ্টা করছে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জামাতের অধ্যায় শেষ হয়েছে অনেক আগেই। বাস্তবে তাদের সুসংগঠিত কোন অস্তিত্ব নেই। এখন যারা অবশিষ্ট আছে তারা জঙ্গি। তাদের জনগণের কাছে কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিএনপি তাদেরকে সঙ্গে রেখেছিলো বলে তারা এতদিন শক্তি নিয়ে চলেছে। এখন আর সেই রকম কোন সুযোগ নেই।

এদিকে জামাতের সূত্রে জানা গেছে, তারা এখনও মনে করে না যে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে। তারা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। সরকারের বিচারে যাদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ও কার্যকর করা হয়েছে। সেটা করলেই সরকার যদি মনে করে সব শেষ হয়ে গেছে। তাহলে সেটা ভুল করবে। জামাত শেষ হয়ে যায়নি। জামাতের কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের সরকার ফাঁিস দিয়েছে। তাদের উত্তরাধিকাররা দলে রয়েছে। তারাই কি হত্যার প্রতিশোধ নিবে না?
এদিকে সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের কাছে খবর রয়েছে, জামাত এখন আন্ডারগ্রাইন্ডে যেতে পারে। সেখান থেকে কাজ করবে।

এদিকে জামাতের শীর্ষ নেতা নিজামীর ফাঁসির কার্যকর করার পর তাদের উত্তারাধিকারীরা এখন সুসংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করবে। তারা নতুন করে সংগঠিত হবে। নতুন করে তারা জামাত নাম না নিয়েও রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করবে। কিন্তু সেটা সরকার করতে দিবে না।

সরকার জামাতকে প্রতিহত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে যাতে কোন ধরনের ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল অনুমতি না পায় সেই জন্য সতর্ক রয়েছে।
সরকারের কাছে খবর রয়েছে এখন জামাতের সব রকম কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা ছাড়াও তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। নামে বেনামে কোন সম্পদই তাদের দখলে রাখতে পারবে না। আইনে সেই বিধান করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জামাতের যেসব নেতারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন ওই সব অপরাধীদের বিচার শেষ পর্যায়ে। যে কটা বাকি আছে তাও দ্রুতই নিস্পত্তির পথে।

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে জামাতের অধ্যায় আক্ষরিক অর্থে শেষ হয়েছে অনেক আগেই। বাস্তবে তাদের সুসংগঠিত কোন অস্তিত্ব নেই। এখন যারা অবশিষ্ট আছে তারা জঙ্গি। তাদের জনগণের কাছে কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিএনপি তাদেরকে সঙ্গে রেখেছিলো বলে তারা এতদিন শক্তি নিয়ে চলেছে। এখন আর সেই রকম কোন সুযোগ নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, জামাতের যেসব নেতারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন ওই সব অপরাধীদের বিচার হয়েছে। যাদের বিচার কাজ চলছে সেগুলোও শেষ হবে।