জনসনের বেবি পাউডারে ক্যান্সারের ভাইরাস : ৪৪০ কোটি টাকা জরিমানা

জনসন বেবী পাওডার

নিউজ নাইন২৪, স্বাস্থ্য ডেস্ক: শিশুদের জন্য ব্যবহৃত জনপ্রিয় ট্যালকম পাউডার ব্রান্ড জনসন অ্যান্ড জনসনের(জে অ্যান্ড জে) পণ্যে ক্যান্সারের ভাইরাস(জীবাণু) ধরা পরেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে মার্কিন এক আদালত ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৪০ কোটি টাকা। এখনো প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে আরো ১ হাজার ২০০ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ট্যালকম পাউডার গরমকালে শিশুদের ঘামাচি রোধে এবং সুগন্ধির জন্য ব্যবহার করে বাংলাদেশের মহিলারা।

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করে গ্লোরিয়া রিস্টেসান্ড নামে এক নারীর শরীরে ক্যান্সার হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এজন্য জনসন কোম্পানিকে ভুক্তভোগী নারীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি এবং জরিমানা বাবদ ৫০ লাখ ডলার দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন এক আদালত। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ হচ্ছে ৪৪০ কোটি টাকা।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিন সপ্তাহ ধরে বিচার কার্যক্রম চলার পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের আদালত এ রায় দেয়। জেঅ্যান্ডজে-এর উৎপাদিত ট্যালক-ভিত্তিক পণ্যগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, তাদের পণ্যে এমন সতর্কতা যুক্ত না করায় কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রায় ১,২০০ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ মামলাগুলোর প্রথমটিতে হারার পর দ্বিতীয়টিতেও সরাসরি দোষী সাব্যস্ত হল কোম্পানিটি। আদালত ভুক্তভোগী গ্লোরিয়া রিস্টেসান্ডকে ৫ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ ও ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দেয়ার জন্য জেঅ্যান্ডজে-কে নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে একই আদালত ক্যান্সারে মারা যাওয়া এক নারীর পরিবারের মামলার রায়ে ওই পরিবারকে ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা দেয়ার আদেশ দিয়েছিল জেঅ্যান্ডজেকে। ওই নারীও জেঅ্যান্ডজে-র ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতেন।

রিস্টেসান্ড জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে তিনি জনসন ব্রান্ডের বেবি ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতেন। এগুলোর মধ্যে বহুল পরিচিত বেবি পাউডার এবং শাওয়ার টু শাওয়ার’ পাউডার রয়েছে।

রিস্টেসান্ডের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রিস্টেসান্ডের ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং সার্জারি করে শরীরের ভিতরে থাকা অংশ ফেলে দেয়ায় তার ক্যান্সার সেরে যায়।

এদিকে জেঅ্যান্ডজে এর মুখপাত্র ক্যারল গুডরিচ বলেছে, কসমেটিক ট্যালকের সুরক্ষা নিয়ে করা ৩০ বছরের গবেষণা ফলাফলের বিরোধিতা করছেন বাদী। রায়ের বিরুদ্ধে তাদের কোম্পানিটি আপিল করবে এবং নিজেদের পণ্য ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই এটি প্রমাণ করবে বলে সংবাদ মাধ্যমেকে জানানো হয়েছে।