চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব মালয়েশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বোর্নিও দ্বীপের উপকূলে দক্ষিণ চীন সাগরে কুয়ালালামপুরের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইইজেড) চীনা নৌযানের উপস্থিতি ও তৎপরতার প্রতিবাদ জানাতে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে মালয়েশিয়া।

সোমবার (৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন লঙ্ঘন করে মালয়েশিয়ার সাবাহ ও সারাওয়াক রাজ্যের উপকূলে দিয়ে চীনের জরিপ নৌকাসহ বিভিন্ন নৌযান পরিচালনা করা হয়েছে।

তবে কখন ও কতটি চীনা নৌকার উপস্থিতি সেখানে ছিল, তার বিবরণ দেওয়া হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পানিসীমায় আমাদের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আমরা অবস্থান নিয়েছি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। এছাড়া দেশটির পানিসীমায় আগে বিভিন্ন বিদেশি নৌযানের বেআইনি অনুপ্রবেশেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। দক্ষিণ চীন সাগরের নিজ নিজ উপকূলের অংশ দাবি করে আসছে মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম ও ব্রুনেই। অথচ পুরো অঞ্চলটিই নিজের বলে দাবি করেছে চীন।

সম্প্রতি বিতর্কিত পানিসীমায় তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। বিভিন্ন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে পাহাড়ি শিলাস্তরের ওপরে সামরিক ফাঁড়ি স্থাপন করেছে। এছাড়া মাছ ধরার বিশাল নৌবহর ও জাহাজও মোতায়েন করেছে চীনারা।

গেল বছর দক্ষিণ চীন সাগরের সারাওয়াকে কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থায় জড়িয়ে পড়েছিল চীন ও মালয়েশিয়া। কারণ মালয়েশিয়ার জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোনাস সেখানে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে নেমেছিল। এ উপলক্ষ্যে অঞ্চলটিতে একটি পর্যবেক্ষণ নৌকা পাঠায় চীন।

এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভের তথ্য মতে, বিতর্কিত পানিসীমায় চীনের ২৭টি ফাঁড়ি রয়েছে। এছাড়া ২০১২ সাল থেকে স্কারবোরাহ বালুচরও তাদের নিয়ন্ত্রণ। ফিলিপিন্সির কাছ থেকে এটির দখল করে নেয় চীন।