চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখছেন শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসসহ মাদক, ঘুষ, দুর্নীতি, ইভটিজিং ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আজ শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেল গেইট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে বঙ্গবন্ধু সড়কে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির ব্যানারে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।জনসভায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান জানান, দলীয় নেতা-কর্মী, পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন।

নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শামীম ওসমান জানান, দলের ব্যানারে থেকে যদি কেউ মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থেকে দলের বদনাম করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘দলের ভেতরে থেকে আমার নেত্রী শেখ হাসিনার বদনাম করবে, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের বদনাম করবে, তাদের কাউকে আমি ছাড় দেবো না। তাদের ঘাড়ের ওপর কিন্তু শামীম ওসমানের হাত থাকবে। তাদেরকে ধরে ফেলা হবে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে এসেছি। ধান্দাবাজি করতে আসি নাই। নারায়ণগঞ্জে কিন্তু এমন অনেক ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ আছেন। তাদেরকে সাবধান করে দিচ্ছি। দিনের বেলায় বিএনপি, আর রাতের অন্ধকারে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করা—এমন রাজনীতি আমি করি না। সাচ্চা আওয়ামী লীগারদের নিয়েই আমি রাজনীতি করবো। তবে বিনা কারণে যদি দলের কারও ওপর আঘাত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে সবাইকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিজের সম্পর্কে শামীম ওসমান বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার নাই। এমপি মন্ত্রীত্ব আমার দরকার নাই। এর আগে দুই দুই বার আমাকে মন্ত্রী হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। আমি মনে করি, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর তার পাশে সেই মন্ত্রিসভায় আমি থাকবো, সে যোগ্যতা আমার এখনও হয় নাই। আমি আমার মাতৃতুল্য নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবেই থাকতে চাই।

এর আগে দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে মিছিল ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনসভায় এসে যোগ দেন।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম ও সহ-সভাপতি চন্দন শীলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।