গোপালগঞ্জে কোনো উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই

নিউজে ডেস্ক: গোপালগঞ্জে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে উৎসবমুখর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শান্তিমনি চাকমা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে।জেলার ৫ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩২ জন এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ভোর রাত থেকেই দিনভর থেমে থেমে চলা বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রার্থীদেরকে শোডাউনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেখা যায়।দেশব্যাপী পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী ২৪মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় জমা দিয়েছেন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন। কোটালীপাড়ায় জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। মুকসুদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং কাশিয়ানী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, মাহমুদ হোসেন দিপু, এস.এম শাহ আলম, প্রিতীশ বিশ্বাস (জাপা) তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন গাজী গোলাম মোস্তফা, সোলায়মান বিশ্বাস, গাজী মাসুদুল হক, মো: বাবুল শেখ ।কোটালীপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন মজিবুর রহমান হাওলাদার, বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সুবাস চন্দ্র জয়ধর, কমল চন্দ্র সেন।

মুকসুদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোঃ কাবির মিয়া, রবিউল আলম সিকদার, মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্ত, সাজ্জাদ মিয়া (জাকের পার্টি) ।কাশিয়ানী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোক্তার হোসেন, সুব্রত ঠাকুর, ফারুক আহম্মেদ, শামসুন্নাহার মীনা জামান, কাজী নুরুল আমীন তুহিন ও জানে আলম বিরু।

গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাউকেই আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সহজেই চেয়ারম্যান হবার লোভে মাসব্যাপী নেতা-কর্মীদের দৌঁড়-ঝাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলায় বিরোধী দল বলতে নেই বললেই চলে। তাছাড়া সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ায় দলীয় কোন মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলি খান বলেন, ‘যেহেতু জেলায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী নেই। তাই আমাদের এই জেলার ৫ উপজেলায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখন যে যার মতো করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।