খালেদার বাড়ির ফটকে সাঁটানো হয়েছে সমন

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আদালতের জারি করা সমন গ্রহণ করেননি তিনি। তাই এ সমন রাজধানীর গুলশানে তাঁর বাসার ফটকে সাঁটিয়ে দিয়েছেন আদালতের কর্মচারী। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের নাজির মো. মাসুদ খান  এ খবর নিশ্চিত করেন।

নাজির বলেন, ‘গতকাল একটি মামলায় আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমার স্বাক্ষরিত ওই সমন দিতে আদালতের জারিকারক (বার্তাবাহক) মো. জাবিদ হোসেন বাচ্চু ​দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় যান। জারি করা ওই সমন গ্রহণ করানোর জন্য তিনি বিকে​ল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ গ্রহণ ​করেননি। পরে তিনি সমনটি খালেদা জিয়ার বাসভবনের ফটকে সাঁটিয়ে চলে আসেন।’

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আমলে নিয়ে গতকাল সোমবার সমন জারি করেন আদালত। আগামী ৩ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে।

গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দণ্ডবিধির ১২৩(ক)/১২৪(ক)/৫০৫ ধারায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ। তিনি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদেরও সদস্য। এর আগে তিনি মামলা করার জন্য নিয়মানুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেন।

গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, এই মামলাটিসহ গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ৩৬টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১০টিই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।