কৃত্রিম সংকট: ভারত থেকে গ্যাস আমদানির চিন্তা-ভাবনা!

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: চাহিদা মেটাতে প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্যাস আমদানির চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

জ্বালানি উপদেষ্টা আরো জানান, গ্যাস আমদানির জন্য ল্যান্ড বেসড এলএনজি টার্মিনালের ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেও গ্যাস আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে। মিয়ানমার বা ভারতের ত্রিপুরা থেকে এটা পাওয়া যেতে পারে। বেসরকারিভাবে কেউ যদি প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্যাস আমদানি করতে চায় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ২০১৯ সালে মাতারবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ পাব। জ্বালানির চাহিদা মেটাতে আগামী ৫ বছরে ১০০টা কূপ খনন করা হবে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।’

তৌফিক-ই-ইলাহী আরো বলেন, ‘দেশে প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। আমরা জরিপ করে জানতে পেরেছি, বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এ খাতে যে ভরতুকি দেওয়া হয় অনেকে তার বিরোধিতা করেন। তবে এটা সামাজিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই করা হয়। শিল্প খাতে যেটা দেওয়া হয় সেটা বিনিয়োগ। এজন্য দাম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের শিল্পগুলোকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিয়ে আসুন। জমির চিন্তা করেই এসব অঞ্চল করা হয়েছে। সেখানে কোয়ালিটি বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।’

এদিকে, দেশের গ্যাসের সংকটকে ‍‘কৃত্রিম সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু বলেছেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে গ্যাসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত গ্যাস থাকার পরও একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে গ্যাসের তীব্র সংকট সৃষ্টি করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। যা সরকারের কাছে কাম্য নয়।#