কুরবানির জন্য দেশীয় পশুই যথেষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার বলেছেন, দেশে কুরবানির জন্য আমাদের দেশের পশুই যথেষ্ট। বাইরের পশুর কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, আমাদের দেশের কুরবানির যে পশু আছে সেটাই সারপ্লাস হবে এবার। বুধবার এসব কথা বলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, গত বছর অমাদের কুরবানিযোগ্য পশু ছিল প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ। এর মধ্যে কুরবানিতে পশু জবাই করা হয়েছিল এক কোটি ৬ লাখ। গত বছরের প্রস্তুতকৃত প্রায় ১২ লাখ পশু সারপ্লাস ছিল। এবারও সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত) হবে ইনশাআল্লাহ। কুরবানির পশুর কোনো অভাব হবে না।

তিনি বলেন, এবার সারাদেশে কুরবানিযোগ্য পশু কত- এ বিষয়ে একটা জরিপ চলছে। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে জরিপের ফলাফল হাতে পাব। তখন নির্দিষ্ট করে বলা যাবে কুরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা।

গত বছরের সংখ্যা উল্লেখ করে ডা. আবদুল জব্বার শিকদার বলেন, এবারও প্রায় এক কোটি ১৮ লাখের মতোই হবে। এবার বাড়ার সম্ভাবনা কম। কারণ অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে অনেকেই কুরবানির পশু তৈরি করতে পারেননি।

দেশের বাইরে থেকে কুরবানির পশু আনা-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, দুই বছর ধরে কুরবানির জন্য বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানি করা হয় না। আমাদের দেশের কৃষক ও খামারিরা যে পশু লালন-পালন করেন সেটাই যথেষ্ট। বরং আরও কিছু সারপ্লাস থাকে। এবারও বাইরে থেকে পশু আনার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

কুরবানির পশু ক্রয়ে মানুষের সামর্থ্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশেই নয়; সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক অবস্থা মন্দা। গত চার মাসে দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকার কথা নয়। তবে একেবারে হোপলেস (হতাশ) হওয়ার মতো কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, প্রতি বছর যেখানে একজন একাই একটা পশু কুরবানি দিতেন এবার শেয়ারে দেবেন। কুরবানি চলবেই; তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে হয়তো প্রতি বছরের মতো স্বাভাবিক হবে না।