কাগজে-কলমে বেশি হলেও ভারতের অধিকাংশ যুদ্ধ বিমানই জরাগ্রস্ত

Image result for ভারতের যুদ্ধবিমান

ডেস্ক: যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যে ভারতের বিমানবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ইসলামাবাদ-লাহোর মহাসড়কে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান নামিয়ে মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তান। অথচ ভারত এখনও তেমন কোন প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এ কারণে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বিমানবাহিনীর সদরদপ্তরে।

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাতে ভারতের হিন্দি দৈনিক জাগরণ ও নবভারতের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাগজে-কলমে যুদ্ধবিমান অনেক হলেও অধিকাংশই জরাগ্রস্ত। বিমান বাহিনীতে যত যুদ্ধবিমান রয়েছে, তার সব ক’টি একসঙ্গে অভিযানে নামানোর অবস্থায় থাকে না। বিমানের বয়স যত বাড়ে, মেরামতির কাজও বাড়ে।

জাগরণ জানায়, বিমান বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছে, ‘এখনই আমাদের ছয় স্কোয়াড্রন, অর্থাৎ ১০৮টি রাফাল-এর মতো মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট প্রয়োজন। কিন্তু জুমুয়াবার ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়েছে। এখনই দরকার ১০৮টি যুদ্ধবিমান। কেনা হল ৩৬টি। তা-ও সেগুলি সব হাতে পেতে লাগবে সাড়ে পাঁচ বছর।

নবভারতের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান বাহিনীর শক্তি এখনও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে একই সময়ে যুদ্ধ লাগলে ভারতের ৪২ থেকে ৪৪ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। রয়েছে মাত্র ৩৩ স্কোয়াড্রন। তার তিন ভাগের এক ভাগই জরাগ্রস্ত মিগ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, আগামী ১০ বছরে অন্তত ৪০০টি যুদ্ধবিমান কেনা হলে তবেই একসঙ্গে পাকিস্তান-চীনের মোকাবিলা করা সম্ভব। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সেরা অস্ত্র এখন রুশ সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান। কিন্তু তাদের যন্ত্রাংশ জোগাড় করতে বিমান বাহিনীর ঘাম ছুটছে। ফলে যে কোনও সময়ে মাত্র ৫৫ শতাংশ সুখোই ওড়ার অবস্থায় থাকে। তাই সুখোইয়ের যন্ত্রাংশ কেনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে চাইছে বিমান বাহিনী।