কমিশনারের গাড়িতে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা

ইয়াবা: কমেছে অভিযান, বেড়েছে পাচার

নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) অফিসের স্টিকারযুক্ত গাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছেন র‌্যাব-১৫-এর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রাস্তার হিমছড়ি সেনা চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি অভিযানকারীরা।

তবে ইয়াবার সঙ্গে জড়িত হিসেবে গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলমকে (৩৪) চিহ্নিত করেছে আরআরআরসি অফিস। জাহাঙ্গীর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি কলম্বিয়াশিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার (সহকারী পরিচালক-মিডিয়া) মো. শাহ আলম বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে কক্সবাজারগামী একটি নম্বরবিহীন গাড়িযোগে ইয়াবা আসছে- এমন খবরে সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়। মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি সেনা চেকপোস্ট সংলগ্ন স্থানে বসানো বিশেষ চেকপোস্টে গাড়িটি আটকে দেয়া হয়। পরে ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া যায়। গাড়িটির সামনে ইংরেজিতে ‘আরআরআরসি’ স্টিকার সংযুক্ত ছিল।

মো. শাহ আলম আরও বলেন, চালক গাড়িটি না থামিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার সামনে এগিয়ে গিয়ে গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়। পরে গাড়িতে তল্লাশি করে পেছনের সিটের নিচে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১৯ হাজার ৩১০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গাড়িচালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার শাহ আলম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি অভিযানকারীদের কাছ থেকে জেনেছি। এটি অনভিপ্রেত। কিন্তু এসব বিষয়ে আরআরআরসি অফিস খুবই কঠোর। গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আগেও মাদকের অভিযোগ এসেছিল। তখন সেভাবে ধরা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার বিষয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।