কচুর কেজি ১০ টাকা

কচুর কেজি ১০ টাকা

কুড়িগ্রাম সংবাদাদাতা: কুড়িগ্রামে এ বছর কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে বিভিন্ন সবজির উৎপাদন বেশি থাকায় দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কচু ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৪০৫ হেক্টর জমিতে কচুর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাটে কচুর আবাদ হয়েছে বেশি।
কচু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে কচু লাগানো থেকে পরিপক্ব হতে সময় লাগে ৫-৬ মাস। ফলন ভালো হলে বিঘাতে ৮০-৯০ মণ পর্যন্ত কচু উৎপাদন হয়। এক বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। দাম ভালো থাকলে এক বিঘা জমি থেকে লাখ টাকার কচু বিক্রি করা যায়।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে কচু ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন চাষিরা। তারা বলছেন, এ বছর কচু চাষে লাভবান হতে না পারলেও তেমন লোকসান হবে না।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের আগমনী গ্রামের কচু চাষি খলিলুর রহমান বলেন, আমি তিন একর জমিতে কচু চাষ করছি। প্রথম দিকে দাম একটু ভালো থাকলেও এখন দাম অনেক কমে গেছে। বর্তমান ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। যদি ৬০০ টাকা মণ বিক্রি করতে পারতাম তাহলে লোকসান হতো না। কারণ কচু তোলার জন্য মণ প্রতি খরচ হয় ১৫০ টাকা।

ওই ইউনিয়নের শিবরাম গ্রামের হাসেন আলী বলেন, কচুর ফলন ভালো হয়েছে। কচুর মৌসুম শেষের দিকে। প্রথম অবস্থায় দাম ভালো পেলেও এখন দাম অনেক কম। বাজারে বিভিন্ন সবজির উৎপাদন বেশি থাকায় দামটা কমে গেছে। তা ছাড়া আমার জানা মতে, আমাদের এখানকার কচু কুড়িগ্রাম ছাড়া কোথাও যায় না। যদি বাইরে পাঠানো যেত তাহলে দাম ভালো পাওয়া যেত।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, আমাদের এখানে কচু চার ধরনের। অন্যান্য সবজির তুলনায় কচু চাষ করা একদমই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। তা ছাড়াও আলুর চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এ কারণেই দাম কম হলেও চাষিদের লোকসান হয় না। এক বিঘা জমিতে ভালো ফলন হলে ৮০-৯০ মণ পর্যন্ত কচু উৎপাদন হয়।