এস. এম কামাল হোসেনের প্রতিক্রিয়া: বিএনপির পদযাত্রা ২০১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের কথাই মনে করিয়ে দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির পদযাত্রাকে আমরা দেখছি গণতন্ত্রকে হত্যার লক্ষ্যে বিএনপির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে। বাংলাদেশকে আবার জঙ্গিবাদের বাংলাদেশ বানানোর লক্ষ্যে বিএনপির এই পদযাত্রা। বিএনপির ব্যর্থতা, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্রের ফলেই ১/১১ সরকারের উত্থান হয়েছিল। বিএনপি যেনতেন প্রকারে ভোট ডাকাতি করে আবার ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। বিএনপির নেতা তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত এবং বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। বিএনপি জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না, তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না এজন্য তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিএনপির মূল লক্ষ্য হলো গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা এবং বিদ্বেষ ছড়ানো। এ কারণে বিএনপি ষড়যন্ত্র করে আরও একটি অসাংবিধানিক সরকারের কথা বলছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। এর বিপরীতে আমরা দেশব্যাপী শান্তি শোভাযাত্রা করছি। আমাদের শান্তি শোভাযাত্রার মূল লক্ষ্য হলো, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমাদের এই শোভাযাত্রা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে।

যারা আমাদের শোভাযাত্রাকে পরে দিতে বলে পরোক্ষভাবে তারা বিএনপির অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে। বিএনপির সমাবেশের সময় আমরাও যখন সমাবেশ দেই তখন কোনো ধরনের সংঘাত হয় না। আমরা যখন মাঠে থাকি না তখনই বিএনপি সন্ত্রাস করে। অতীতে বিএনপির অনেক কর্মসূচির সময়ে আমরা মাঠে ছিলাম না। বিএনপি তখন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং ভাঙচুর করেছে। বিভাগীয় সমাবেশসহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের নামে তারা এসব করেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কর্মসূচি পালন করা। আমরা কোনো পাল্টা সমাবেশ করিনি। বিএনপি বলেছিল তাদের পদযাত্রা হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু বিএনপির পদযাত্রা থেকেই বগুড়ায় একটি স্কুলে বোমাবাজিতে শতাধিক মেয়ে শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গতকাল ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজে তারা হামলা করেছে। এমনকি বাংলা কলেজের ফুলের বাগানেও তারা হামলা করেছে। ২০১৩—১৪ সালে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। তারা এখন সেই অতীত রূপ প্রকাশ করছে। আমরা এ কারণেই মাঠে থাকছি যাতে তারা আবার ২০১৩—১৪ সালের মতো সন্ত্রাস করলে জনগণ তাদের সমুচিত জবাব দিতে পারে।