এবার ড্রোনবাহী জাহাজ উদ্বোধন করবে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: খুব শিগগিরই ড্রোনবাহী জাহাজ উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌ বিভাগের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাঙ্গসিরি। ড্রোনবাহী এই জাহাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ বাহমান বাকেরি’। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া শহীদ সোলাইমানি-২ নামে একটি জাহাজের নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইআরজিসির এই কমান্ডার। তাঙ্গসিরি নতুন জাহাজগুলোর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেছেন, এসব জাহাজ রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এবং এসব জাহাজে নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হবে। অপর এক খবরে বলাপ হয়, মধ্যপ্রাচ্যের পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ ইরান ‘পাভেহ’ নামের নতুন আরেকটি ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। গতকাল শুক্রবার ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করেছে দেশটি। ইরানের সবচেয়ে চৌকস বাহিনী বিপ্লবী গার্ডের এক শীর্ষ কমান্ডার জানিয়েছেন, যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি তারা তৈরি করেছেন সেটি ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আর নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচনের পরই বিপ্লবী গার্ডের এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমীরআলী হাজীজাদেহ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুঁজছেন তারা। মূলত বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের ওপর হামলা চালানোর উপায় খুঁজছে তেহরান।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলাইমানি। তাকে হত্যার পরই ইরান হুমকি দেয় তারা কঠোর প্রতিশোধ নেবে। বিপ্লবী গার্ডের এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমীরআলী হাজীজাদেহ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের ভা-ারে যুক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র।’ ‘আল্লাহ সহায়ক হোক। আমরা ট্রাম্পকে হত্যার জন্য খুঁজছি। মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং যেসব কমান্ডার সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সবাইকে হত্যা করা উচিত।’ এদিকে সোলাইমানিকে হত্যার প্রথম প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। ওই সময় তাদের হামলায় ওই ঘাঁটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। আমীরআলী হাজীজাদেহ জানিয়েছেন, ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালালেও কোনো ‘অসহায়’ মার্কিন সেনাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না তাদের। এদিকে ইরান সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বাড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তেহরানের এ ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থেই এগুলো তৈরি করছে।

সূত্র: রয়টার্স।