এটিএম জালিয়াতি: সিসি ক্যামেরায় ‘বিদেশির ছবি’

atm fraudঢাকা: গ্রাহকের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রে বিদেশি যোগসাজশ রয়েছে বলে সন্দেহের কথা পুলিশকে জানিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় বনানী থানায় বেসরকারি ব্যাংকটির করা মামলার এজাহারের সঙ্গে একটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিও তারা জমা দিয়েছে, যাতে একজন ‘বিদেশির মুখাবয়ব’ ধরা পড়েছে বলে তাদের দাবি।

এই সন্দেহের কথা জানিয়ে ওই বিদেশির বাংলাদেশ থেকে পালানো ঠেকাতে পুলিশকে বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে নজরদারি চালাতে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে ইউসিবি কর্তৃপক্ষ মামলা করে, যার তদন্ত ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ইউসিবি কর্তৃপক্ষ এজাহারের সঙ্গে বুথের সিসিটিভিতে ধরা পড়া কিছু ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে।”

বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খান জানান, বনানী এলাকায় ইউসিবির কিছু এটিএম বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে গ্রাহকের গোপনীয় তথ্য চুরি করা হয়।

“তদন্তের স্বার্থে এখনই অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ওই চক্রটিকে ধরতে কাজ করছে,” বলেন তিনি।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার গ্রাহকের অজ্ঞাতসারে কয়েকটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলাসহ নানা ধরনের ‘ভুতুড়ে ট্রানজেকশনের’ ঘটনা ঘটার পর এই জালিয়াতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

তিনটি ব্যাংকের ছয়টি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির পর কার্ড ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পাওয়ার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তকারীরা।

থানায় মামলাটি করেন ইউসিবি কার্ডের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের হেড অব ফ্রড কন্ট্রোল অ্যান্ড ডিসপিউট ম্যানেজমেন্ট মাহবুব উল ইসলাম খান।

মামলায় তিনি বলেছেন, তাদের বনানীর একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর নাম করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢুকেছিলেন এক ব্যক্তি।

“ওই ব্যক্তি সকাল ১০টা ৪২ মিনিটসহ বিভিন্ন সময়ে ঢুকে আমাদের বুথে স্থাপিত এটিএম মেশিনের কম্পিউটারের তথ্যাদি সংগ্রহ করার নিমিত্তে কার্ড ডাটা কপি করার যন্ত্র (স্কিমিং ডিভাইস) স্থাপন করে।”

“পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা এই আসামি অবৈধ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিএম মেশিনের কম্পিউটার সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে কপিকৃত ডাটা দিয়ে ট্রানজেকশন করতে সমর্থ হয়।”
বাংলাদেশজুড়ে প্রায় সাত হাজার এটিএম বুথের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো সেবা দিচ্ছে।