‘একে অপরকে ফাঁসাতে জেব্রা হত্যা’

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে জেব্রাগুলো মারা যায়নি, হত্যা করা হয়েছে। নিজেদের মতবিরোধ থাকায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা একে অপরকে ফাঁসাতে জ্রেবাগুলো হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।

জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় বন পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ শেষে রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় সংসদ সদস্য বলেন, গত মাসে সাফারি পার্কে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এটা কেউ জানে না। এত মূল্যবান প্রাণীগুলো মারা যাচ্ছে, অথচ পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্য গোপন করে যাচ্ছে। পার্কে ১০টি বাঘ ছিল। একটি পুরুষ বাঘ মারা যাওয়ায় এখন মোট বাঘের সংখ্যা ৯টি। স্থানীয় এমপি মনে করেন, এটি একটি হত্যার ঘটনা। এ জন্য থানায় তিনি মামলা করবেন।

তিনি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে বলেন, যাদের তত্ত্বাবধানে জেব্রা মারা গেছে তাদের স্বপদে বহাল রেখে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। এতে পার্কের অন্য কর্মচারীরা মুখ খুলতে সাহস পাবে না। তিনি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে বলেন।

এ সময় সংসদ সদস্য আরও অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে হাতির খাবার পাচার হয়ে যাচ্ছে।

এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক জানায়, তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। কর্মকর্তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটি প্রশাসনের বিষয়।

তদন্ত কমিটির যেসব সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছিলো তারা হলো, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান।

পার্কে গত ১২ জানুয়ারি একটি পুরুষ বাঘ মারা যাওয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবির জানান, ওই বাঘের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এখনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তবে কেন ওই সময় বাঘ মারা যাওয়ার তথ্যটি প্রকাশ করা হয়নি সে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।