উপহারের ঘরে বসবাসে অনীহা, নেই বিদ্যুৎ ও রাস্তা

বরগুনা সংবাদদাতা: বরগুনার তালতলীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা ঘরে ঝুলছে তালা। পানির জন্য নলকূপ থাকলেও নেই বিদ্যুৎ সংযোগ ও চলাচলের রাস্তা। দুর্গম জায়গা হওয়ায় ভূমিহীনেরা এখানে বসবাস করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এতে প্রায়ই ঘরে ঝুলছে তালা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেথীপাড়া এলাকায় ২০২০ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঐ বছরই ঘর গুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ২০টি ঘরের মধ্যে মাত্র ১০টি ঘরে বসবাস করছেন উপকারভোগীসহ তাদের আত্মীয়স্বজনেরা। বাকি ১০টি ঘরে তালা ঝুলছে। ছোটবগী বাজারের পেছনে ১০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর কয়েকটি খালি পড়ে রয়েছে। বড়বগী ইউনিয়নের পাজরাভাঙ্গা এলাকায় ৫১ টি ঘরের ভিতরে প্রায় ১০ টি ঘর খালি রয়েছে। এসব ঘরের ভিতরে অনেক ঘর ভাড়াও দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

উপকারভোগীদের অভিযোগ বিদ্যুতের সার্ভিস লাইন টানা থাকলেও মিটার দেওয়া হয়নি। চলাচলের জন্য নিচু রাস্তাঘাট কাঁচা থাকায় বর্ষার সময় পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও প্রধান সড়কে যেতে পার হতে হয় ছোট একটি কাঠের ব্রিজ সেটিও ভাংগা। আশ্রয়ণ এলাকাটি একটু দূর হওয়ায় অনেকেই এখানে বসবাস করতে চাচ্ছেন না। তাছাড়া যাদের জমিজমা আছে ও আশ্রয়নের ঘর দরকার নেই তারাও এইসব ঘরের তালিকাভুক্ত হয়ে ঘর পেয়েছেন। তাদের ঘর প্রয়োজন নেই এজন্য এই ঘরগুলো তালা ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ঘরের দেয়াল সহ যাবতীয় মালামাল। এতে প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে দাবি তাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, যেসব ঘর খালি ও তালা ঝুলছে তাদের একটি তালিকা করতেছি। এরপর এটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পাঠানো হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে ঐ ঘরগুলো যেসব উপকারভোগীরা আবেদন করেছে তাদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন চলাচলের জন্য রাস্তা ও ব্রিজটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিজিএম এর সাথে যোগাযোগ করে দেখা হবে ওখানে সার্ভিস লাইন দেওয়া হল কিন্তু সংযোগ দেওয়া হয়নি কেন। খেঁাজখবর নিয়ে দ্রুত সংযোগ দেওয়া হবে।

এ উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৪৫৯ টি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।