ইসলামের মধ্যে একটি বিশেষ দিন ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’

পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ

‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ বলতে পবিত্র ছফর শরীফ মাসের শেষ বুধবার কে বলা হয়। পবিত্র ছফর শরীফ মাস ব্যতীত আর কোনো মাসের শেষ আরবিয়া (বুধবার) কে ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ বলা হয় না। যেমন ‘আশূরা’ শব্দটি আরবী ‘আশারাতুন’ শব্দ হতে এসেছে; যার অর্থ দশ বা দশম। কিন্তু ইছতিলাহী বা পারিভাষিক অর্থে ‘আশূরা’ শরীফ বলতে শুধুমাত্র পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাসের ১০ তারিখ দিনটিকেই বুঝানো হয়ে থাকে। অন্য কোনো মাসের ১০ তারিখকে পবিত্র আশূরা শরীফ বলা হয় না। সুবহানাল্লাহ!

মূলত, পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাসের ১০ তারিখ দিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদামন্ডিত হওয়ার কারণে যেমনিভাবে উক্ত দিনটি ‘আশূরা’ শরীফ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে, তদ্রুপ পবিত্র ছফর শরীফ মাসের শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া অর্থাৎ বুধবার দিনটিও বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদামন্ডিত হওয়ার কারণে ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ’ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। আর সে বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদামন্ডিত বিষয়টি হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীর্ঘদিন মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করার পর পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ দিনে ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, অর্থাৎ অসুস্থ্য শান মুবারক থেকে সুস্থ্য শান মুবারক প্রকাশ করেন।

অতঃপর গোসল করে খাওয়া-দাওয়া করেন। পরে পবিত্র মসজিদে নববী শরীফের মধ্যে মুবারক তাশরীফ রাখেন। তিনি ছিহহাতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং এ উপলক্ষে উনাদের সাধ্যমতো আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে হাদিয়া পেশ করেন। আর আলাদাভাবে গরিব- মিসকিনদেরকেও দান-ছদকা করেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই এ দিনটিতে উম্মতের জন্য উনাদের নবী ও রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী হাদিয়া এবং দান-ছদকা করা ও খুশি প্রকাশ করা পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।

মুহম্মদ আবরার মাহির

বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক