ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা, ট্যাংক ও জাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তের চার হাজার মাইলেরও বেশি এলাকাজুড়ে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। ঘোষণা দিয়েছে ব্যাপকভিত্তিক একটি নৌ-মহড়ার। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার মধ্যেই মস্কোর তরফে এই নৌ-মহড়ার ঘোষণা এলো। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

প্রধান প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক, সেনা ও অন্যান্য সামরিক যান বহন করতে সক্ষম ছয়টি রাশিয়ান ল্যান্ডিংশিপ গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরের পথে যাত্রা করে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দিলে দেশটির দক্ষিণ উপকূলের এমন শক্তিশালী অবস্থানকে কাজে লাগাতে পারে মস্কো।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের দাবি, রাশিয়া ভাড়াটে সেনা নিয়োগ করছে এবং যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রস্তুতির জন্য দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে তার প্রক্সি বাহিনীকে জ্বালানি, ট্যাংক এবং স্বচালিত আর্টিলারি সরবরাহ করছে।

স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, এলিট স্পেটসনাজ সেনা এবং বিমান বিধ্বংসী ব্যাটারিসহ রুশ বাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এরইমধ্যে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক জেলা থেকে বেলারুশে পৌঁছেছে। পশ্চিমা কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে হুমকিতে রাখার সামর্থ্য অর্জন করবে মস্কো।

রাশিয়ার এমন নতুন সামরিক মোতায়েন মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। গত সপ্তাহে এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‌আমাদের যে বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তা হলো সামগ্রিক চিত্র। ইউক্রেন সীমান্তে লাখখানেক রুশ সেনার জমায়েত এবং সপ্তাহান্তে বেলারুশের সেনাদের সঙ্গে রুশ সেনাদের মিলিত হওয়া কোনও স্বাভাবিক মহড়া নয়।

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০ কোটি মার্কিন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তার প্রথম চালান কিয়েভে পৌঁছেছে।

সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা উপস্থিতির বাস্তবতায় রাশিয়া যেকোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে বসতে পারে। এমন উদ্বেগ থেকে বিষয়টি নিয়ে কিছু একটা করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে সহযোগিতা চাইছে কিয়েভ। অন্যদিকে মস্কো যদি ইউক্রেনে হামলা করেই বসে এর জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।