আর কত বাড়বে ভোজ্যতেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে নিত্যপণ্যের বাজার টালমাটাল। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে দেশে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। দফায় দফায় ভোজ্যতেলের এ দামবৃদ্ধিকে ‘জনগণের সঙ্গে তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ।

সোমবার ন্যাপ এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য জানায়। একইসঙ্গে ভোজ্যতেলের দাম আর কত বাড়বে, সরকারের কাছে সে প্রশ্ন রাখেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এরইমধ্যে সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। অতীতের মূল্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ মুহূর্তে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। দেশের মানুষ বারবার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও সরকারের কর্ণকুহরে তা প্রবেশ করছে না। অন্যদিকে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভোজ্যতেলের এ সিন্ডিকেট সরকারের চাইতেও ক্ষমতাবান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বারবার সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের কষ্ট হচ্ছে। ক্ষোভ বাড়ছে। গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকার নির্ধারিত নতুন দামে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি এ মুহূর্তে জনস্বার্থবিরোধী ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশবাসীর মনে আজ এ বিশ্বাস জন্মাচ্ছে যে, সরকার শুধু অসৎ-লুটেরা ব্যবসায়ী, সিন্ডিকেটের স্বার্থরক্ষায় ব্যস্ত। লুটেরাদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে জনগণের কষ্টের বিষয়ে সরকারের কিছু আসে-যায় না।

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ভোজ্যতেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থানের কোনো বিকল্প নেই। এভাবে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হতে থাকলে সীমিত আয়ের মানুষদের জীবনধারণ আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সরকারের উচিত, কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা। বাজারে তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এখনই বড় উদ্যোগ নিতে হবে। সঠিক ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে বিলম্ব ও ব্যর্থ হলে কঠিন মূল্য দিতে হবে।