আমরা নই, সিএনজি মালিকরাই যাত্রীদের জিম্মি করেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে যেসব যাত্রী সিএনজিতে চলাচল করেন, তারা চালকদের কাছে জিম্মি নন। বরং ঢাকার এক কোটি যাত্রী গণপরিবহন মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি করেন।

বক্তারা বলেন, একতরফা নির্দেশ অনুযায়ী বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে মালিকরা এর চেয়েও অধিক হারে জমা নিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির গ্যারেজ ভাড়াও দিতে হয় চালককে।

সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বলেন, অটোরিকশা মলিকরা লকডাউনেও আগের মতোই অন্যায়ভাবে মাসে দুইবার জমা বৃদ্ধি করেছেন। আমরা প্রতিদিন দেড় হাজার টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করি। সেটাও আমরা আড়াই টাকা মিনিটে গাড়িটি ভাড়া নিয়ে ভাড়া চালাই। সরকারি হুকুমে বিক্রি করতে হয় (যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়) দুই টাকা মিনিটে। আমাদেরকে সবসময় একটা বিড়ম্বনার মধ্যে থাকতে হয়। এছাড়া নিয়োগপত্র না থাকায় বছরে তিন থেকে চারবার বেকার হই।

চালকরা অভিযোগ করে বলেন, যাত্রীদের কাছে মিটারের চাইতে ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার আবদার করলে তারা বাস্তব কারণে রাজি হন। কিন্তু ট্রাফিক সার্জেন্ট যাত্রীদের জেরা করে মিটার থেকে বাড়িয়ে নেওয়ার কথা জেনে নেন। আর এই অপরাধে ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত একটা মিটার মামলা করে দেন।
রাজধানীতে পার্কিং জোন নেই বললেই চলে, অথচ নো পার্কিংয়ের মামলা করে জরিমানা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সিএনজি চালকদের।