আগামী বছর আন্তর্জাতিক বিমান প্রদর্শনীর আয়োজন করবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

বিমান প্রদর্শনীর আয়োজন করবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে বিমান বাহিনী (বিএএফ) আগামী বছর তার সুবর্ণ জয়ন্তিতে কক্সবাজার জেলায় আন্তর্জাতিক এরোস্পেস টেকনলজি ও সরঞ্জাম প্রদর্শনীর আয়োজন করতে যাচ্ছে।

বিএএফ প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত সোমবার বলেন, ঠিক প্যারিস এয়ার শো ও সিঙ্গাপুরে চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশোর আদলে এই বিমান প্রদর্শনীর আয়োজন করবে বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, কোন আগ্রাসী শক্তি যেন বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গাতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি লাভের চেষ্টা করছে বিএএফ।

বিএএফ’র ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের দিনক্ষণ গণনা শুরু উপলক্ষে ঢাকার বিএএফ শাহীন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাহিনী প্রধান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটা শিগগিরই লালমনিরহাটে স্থানান্তর করা হবে।

দেশের প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিমান বাহিনীর এরোস্পেস প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প ইউনিট কাজ করবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী একেএম মোজ্জাম্মেল হক। বিমান বাহিনীর সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে দুটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়েছে।

একটি ওটার এয়ারক্রাফট, একটি ডাকোটা এয়ারক্রাফাট ও একটি আলোত্তি হেলিকপ্টার এবং ৫৭ জন জনবল নিয়ে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের দিমাপুরে ‘কিলো ফাইট’ নামে বিএএফের প্রথম ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। জনবলের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশী পাইলট ও টেকনিশিয়ান এবং পাকিস্তান আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সে কর্মরত বৈমানিকরা।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ে ‘কিলো ফ্লাইট’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যুদ্ধের সময় এই এয়ার ইউনিট ৫০টির বেশি অভিযানে অংশ নেয়।