আইসিটি খাতে অগ্রগতি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ: জিসিআই

আইসিটি খাতে অগ্রগতি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ

প্রযুক্তি ডেস্ক: হুয়াওয়ের ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স (জিসিআই) ২০২০’ অনুযায়ী কোভিড ১৯-এর ক্রান্তিকালেও আইসিটি খাতে নিজের অগ্রগতি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আটির্ফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর এর ফলে সার্বিকভাবে এ বছর আরও তিন পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের খাতায়।

সম্প্রতি ৭৯টি দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য হলো দেশ এবং শিল্পকে ডিজিটাল রূপান্তর সম্পর্কিত অনুমোদন, দিক নির্দেশনা দেয়া এবং দেশগুলোর ডিজিটাল অগ্রগতির সঠিক মাত্রা তুলে ধরা। ২০১৫ সাল থেকে দেশগুলোতে সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা; এই চার ক্ষেত্রের ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে এই জিসিআই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হুয়াওয়ে।

এখানে দেশগুলোকে ফ্রন্টরানার, এডোপটার ও স্টার্টার, এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই তালিকায় স্টার্টার গ্রুপে আছে। গত বছর এই স্টার্টার গ্রুপের দেশগুলোর গড় মোবাইল ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের পরিমাণ আড়াই গুণ বেশি বেড়েছে, তাদের ৪জি সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে, এবং তাদের মোবাইল ব্রডব্যান্ড ২৫ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে। এই অর্জনগুলো স্টার্টার দেশগুলোকে আরও ভালো ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ করতে এবং অর্থনৈতিক বিকাশে নতুন সুযোগগুলো গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। পাশাপাশি, ই-কমার্সে তাদের ব্যয় ২০১৪ সাল থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে । জিসিআই ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই স্টার্টার দেশগুলোর মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল ক্ষেত্রে টপ মুভার হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

জিসিআই ২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে এই পর্যন্ত ‘গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক সূচকে আট পয়েন্ট এগিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই ৪০টি সুচকের মধ্যে গত বছরের তুলনায়, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ, ৪জি সংযোগ বেড়েছে। পাশাপাশি এআই এবং আইওটি ক্ষেত্রে সম্ভাবনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

গবেষণায় উঠে এসেছে, যে দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইন্টেলিজেন্ট কানেক্টিভিটিকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে পারে তারা অপেক্ষাকৃত বেশি সুফল পেয়ে থাকে। এবং এটি সরাসরি মাথাপিছু আয়কে প্রভাবিত করে। যে সমস্ত দেশ ডিজিটাল অবকাঠামোর দিকে এগিয়ে আছে সেই দেশগুলো কোভিড সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। সার্বিকভাবে, অন্যান্য দেশগুলোকে এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে দ্রুত লকডাউন শেষ করে আগের মতো অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করতে হবে।