অস্থায়ী সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার হবে পাবর্তঞ্চলে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: পাবর্ত্য চট্টগ্রামের জনসংহতির সাথে করা শান্তিচুক্তির সব ধারা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গ্যারিসনসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন করে যথাসময়ে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট গ্যারিসনসমূহে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

বুধবার রাঙ্গামাটির স্বতন্ত্র এমপি ঊষাতন তালুকদারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিচুক্তির খণ্ড-ঘ, ধারা-১৭ (ক) এর আলোকে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ছয়টি গ্যারিসনে যথা-দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, রুমা ও আলীকদমে প্রত্যাবর্তনের বিধান রয়েছে। এ লক্ষে ইতোমধ্যে গ্যারিসনসমূহের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলমান রয়েছে। রুমা গ্যারিসনের ৯৯৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। গ্যারিসন সমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন করে যথাসময়ে অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহারের মাধ্যমে মোতায়েনরত সেনাবাহিনীকে নির্দিষ্ট গ্যারিসনসমূহে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে।

ঊষাতন তালুকদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেছিলাম। চুক্তির পর অস্ত্র সমার্পন অনুষ্ঠানে আমি নিরাপত্তার সব ব্যারিকেড ভেঙে তাদের কাছে চলে গিয়েছিলাম। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা চাকরি চেয়েছিল, তাদের চাকরি দেয়া হয়েছে। ভারত থেকে ৬৪ হাজার শরণার্থীকে ফেরত আনা হয়েছে। তবে চুক্তির কিছু অংশ এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। এখনো যেসব ধারা বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করেই চুক্তি হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়। আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর ওই অঞ্চলে যখনই কোনো ঘটনা ঘটেছে তখনই ছুটে গেছি। সমস্যার বিষয়গুলো আমার জানা, সমাধানের পথ কি তা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। এরপর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেছি।

সংসদ নেতা বলেন, যখন চুক্তি হয় বিএনপি-জামায়াত তার বিরোধিতা করেছিল। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। যেদিন অস্ত্র সমার্পন হয়, সেদিন বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় হরতাল-অবরোধ ডেকে ছিল যাতে অস্ত্র সমার্পন না হয়।