অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালসের সঙ্গে জিপিএইচ ইস্পাতের চুক্তি

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিপিএইচ ইস্পাত উৎপাদন বাড়াতে অত্যাধুনিক কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এ ব্যাপারে অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালস টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি করেছে কোম্পানিটি।

গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও প্রাইমেটালসের প্রধান নির্বাহী হিনার রোহেল প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

কোম্পানির চেয়ারম্যান আলমগীর কবির বলেন, ‘কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ব্যবহারে গ্যাস ও বিদ্যুৎ খরচ কমবে। কমমূল্যে ক্রেতাকে পণ্য দিতে পারব।’

প্রাইমেটালসের প্রধান নির্বাহী হিনার রোহেল বলেন, ‘আপনারা কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্যে জিপিএইচ ইস্পাত দেশে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছি।’

জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয়ই সাশ্রয়ী হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় নয় হাজার লোকের। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে দেশি-বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে। বাকি অর্থ কোম্পানির নিজস্ব তহবিল, রাইট শেয়ার ইস্যু ও উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।’

জাহাঙ্গীর আরো বলেন, ‘নতুন প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হলে প্রতিবছর প্রায় ২৫০ কোটি টাকা সরকারি তহবিলে জমা দিতে পারব। এর মধ্যে করপোরেট ট্যাক্স ৪০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর ৬০ কোটি টাকা, কাস্টমস ডিউটি ১৪০ কোটি টাকা ও বাকি ১০ কোটি টাকা বিভিন্ন পোর্টের চার্জ হিসেবে দেওয়া হবে।’

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের কারখানায় এক লাখ ৬৮ হাজার টন এমএস বিলেট ও এক লাখ ২০ হাজার টন এমএস রড উৎপাদিত হয়। নতুন প্রকল্পে এমএস বিলেটের বার্ষিক উৎপাদন আট লাখ ৪০ হাজার টন বেড়ে ১০ লাখ আট হাজার টনে দাঁড়াবে। একই সঙ্গে এমএস রডের বার্ষিক উৎপাদন ছয় লাখ ৪০ হাজার টন বেড়ে সাত লাখ ৬০ হাজার টন উৎপাদন সম্ভব হবে। এতে কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় পাঁচ গুণ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।