অবিশ্বাস আর সন্দেহের মধ্যেই সৌদি যাচ্ছে ওবামা

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তেল সমৃদ্ধ সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক গত সাত দশক ধরে চলে আসছে। সৌদি রাজাদের সাথে আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের অসংখ্য ছবিই দেশ দুইটির মধ্যকার নিবিড় ও কৌশলগত সম্পর্কের চাক্ষুষ প্রমাণ।

আগামী বুধবার অ্যালবামে এমন আরেকটি ছবি যুক্ত হতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ৮০ বছর বয়সি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সাথে এক ব্যক্তিগত সাক্ষাতের জন্য রাজধানী রিয়াদে পৌঁছবেন।

তবে আগামী বুধবার এই দুই নেতার যে ছবি আমরা দেখব তা হয়ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে বর্তমানে সম্পর্কের যে টানাপড়েন চলছে তা ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হবে।

বেশকিছু কারণে সম্প্রতি দেশ দুইটির মধ্যে সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। ওবামার শাসনামলে ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান, ইসলামিক স্টেট তথা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ এবং ইয়েমেনের সাথে সৌদির যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া নিয়ে উভয়ের বেশ অবিশ্বাস ও অসন্তুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে।

সৌদিদের নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওবামার তীক্ষ্ণ মন্তব্য সম্পর্কের তিক্ততাকে আরো গভীর করেছে। যেমনটা বলছেন ‘কার্নেগি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস’ এর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক এক সিনিয়র সহযোগী, দেশ দুইটির মধ্যকার সম্পর্কে বেশ ফাটল ধরেছে। এটা পাথরের মতো হয়ে গেছে। তিনি যোগ করেন, তবে তা এখনো ভেঙে পড়েনি।

যে কারণে এই দুই দেশের একে অপরের দরকার তা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে তার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য সামরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতা করে থাকে। এবং এই সপ্তাহের সফরে এরকম আরো কিছু সহযোগিতার ঘোষণা ওবামার কাছ থেকে আশা করা যাচ্ছে।

বিনিময়ে সৌদি আরব আল-কায়েদার মতো সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করে থাকে। এবং এর সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনীয় যত তেল আমদানি করে তার জোগানোর দায়িত্বও এই সৌদির। মার্কিনীদের কাছে প্রতিদিন প্রায় দশ লাখ ব্যারেল তেল বিক্রি করে সৌদি আরব।

আগামী নভেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বারাক ওবামার প্রেসিডেন্সির গোধুলি লগ্নে সৌদি নেতারা ওবামাকে পাশ কাটিয়ে তাকিয়ে আছে নির্বাচনে কি বিজয়ী হয় সে দিকে। খবর: নিউইয়র্ক টাইমস