অনলাইনে পাওয়া যাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৬২ সেবা

অনলাইনে পাওয়া যাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৬২ সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইনে পাওয়া যাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অধীন বিভিন্ন সংস্থার ১৬২টি সেবা। রোববার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইলাজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এম জিয়াউল আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাইগভ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মাত্র দুই সপ্তাহে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৩৩টি এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর ১২৯টি অর্থাৎ মোট ১৬২টি সেবার ডিজিটাল সেবা রূপান্তর করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে।

এর ফলে অত্যন্ত সহজেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট, সেবার অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহীতা নিজে ৩৩৩ কল সেন্টারে কল করে অথবা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেবা নিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, প্রশাসনিক সেবা কাঠামোয় বেশকিছু জটিলতা আছে যেমন- সেবা নেয়ার জন্য একাধিকবার একই স্থানে যাওয়া, অত্যধিক দলিল-দস্তাবেজের ব্যবহার ও সেবাগ্রহীতা শনাক্তকরণে জটিলতা ইত্যাদি। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেবাগ্রহীতারা জানেন না কোথায় কীভাবে কখন সেবাটি পাওয়া যাবে। সেবাসংক্রান্ত তথ্যের অপ্রতুলতা এবং সেবা মাধ্যমগুলো নাগরিকবান্ধব না হওয়ার কারণে সেবাগ্রহীতা এবং প্রদানকারী উভয়ের সময় ও অর্থের অপচয় হয়।

এই ব্যবস্থায় ছুটির আবেদন, তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন, পিআরএল এবং ল্যাম্পগ্র্যান্ট অনুমোদনের জন্য আবেদন, মাতৃত্বকালীন ছুটি, গাড়ি রিকুইজিশন, লিয়েন, চাকরি স্থায়ীকরণ, বিভাগীয় মামলা, ইউটিলিটি বিল, নাগরিক অভিযোগ/সাধারণ আবেদন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন, আধা-সরকারিপত্র, শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ও ভাতা মঞ্জুরির আবেদন, গাড়ি মেরামতের আবেদনসহ ১৬২টি সেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে।

অধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১টি, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের ২১টি, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার ২৬টি, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩০টি এবং বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের ২১টি সেবা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।