সয়াবিন, চিনি ও লবণের দাম বেড়েছে
ঢাকা: বাজারে শাক সবজিসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সয়াবিন তেল, লবণ ও চিনির দাম ঊর্ধমুখী রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ী আলমগীর জানান, তিনি খোলা সয়াবিন তেল ৮৭ টাকা, পাম তেল ৬৪ টাকা এবং সুপার পাম ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
একই বাজারের দোকানদার হান্নান জানান, তিনি সয়াবিন তেল ৯০ টাকা, পাম তেল ৬৫ টাকা এবং সুপার পাম তেল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
তবে চানখারপুলের অবস্থিত আনন্দ বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ৯২ টাকা কেজি দরে খোলা সয়াবিন বিক্রি করছেন।
এই বাজারের এক দোকানের কর্মী আকিব জানান, তাদের সয়াবিন তেল ৮৬ টাকা কেনা পড়েছে, সঙ্গে পরিবহনের খরচ আছে। তাই তারা প্রতি কেজি ৯০/৯১ টাকায় বিক্রি করেন।
বছরের শুরুতে খুচরা সয়াবিন ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল; কয়েক ধাপে বেড়ে এখন তা ৯০ টাকা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা চিনির বাজার এখনও চড়া।
কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রেতা রাজু জানান, বর্তমানে ৫০ কেজি চিনির বস্তার দাম দুই হাজার ২৩০ টাকা। একমাস আগেও একহাজার ৮৫০ টাকায় বস্তা বিক্রি হয়েছে।
রাজুর হিসাবমতে, চিনির কেজি এখন ৪৪ টাকা, যা গত মাসের শুরুর দিকে ৩৫/৩৬ টাকা ছিল।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে পরিশোধক কোম্পানিগুলো লবণের বাড়তি দাম নিতে শুরু করেছে বলে জানান দোকানদার সবুজ।
তিনি বলেন, “মোটা লবণ ২২ টাকা এবং চিকন লবণ ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।”
অবশ্য সেখানে উপস্থিত এসিআই গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি রনি বণিক দাবি করেন, দুই সপ্তাহ আগে কাঁচামালের সঙ্কটের কারণে লবণের দাম কিছুটা বেড়েছিল। এখন দাম আবার কমতির দিকে আছে।
শুক্রবার অন্য পণ্যের মধ্যে মুরগীর ডিমের ডজন ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার অধিকাংশ স্থানেই ডিমের দাম বাড়তি দেখা গেছে।
তবে বাজারে আলু, শাকসবজি ও কাচা তরকারির দাম বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।
হাতিরপুলের ব্যবসায়ী জুনায়েদ আহমেদ জানান, সকালে পেয়াজ ও আলুসহ আরও কিছু তরকারি কিনেছেন তিনি। এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীলই মনে হয়েছে তার কাছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে গরুর মাংসের কেজি ৩৮০ টাকায়, খাসি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ফার্মের মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়।