মহাকাশযানের জ্বালানি হবে পানি
নিউজ ডেস্ক: কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাশূন্যে নভোচারী পাঠাতে বাহন মহাকাশযান। পৃথিবীর বাইরে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে কার্যক্রম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগও বাড়ছে। মহাশূন্যে গিয়ে অকার্যকর হয়ে যাওয়া, ব্যয়বহুল জ্বালানি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বড় বড় উপগ্রহ নতুন করে ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
মহাকাশে তৈরি হচ্ছে প্রচুর বর্জ্য। এসব সমস্যার সমাধানে ‘কিউবস্যাট’ নামে ছোট আকৃতির মহাকাশযানের কথা ভাবছে নাসা, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাসহ সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই অংশ হিসেবে একটি মহাকাশযান তৈরি করেছে নাসা। যার জ্বালানি হিসেবে তেল বা গ্যাস নয়, ব্যবহার করা হবে পানি। মহাকাশ মিশন সহজ এবং ব্যয় সাশ্রয়ী করতে শিগগিরই নতুন এ মহাকাশযানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে। জ্বালানি হিসেবে পানি ব্যবহার করে আগামী সপ্তাহের শেষদিকেই ‘পিটিডি-১’ নামের মহাকাশযানটি পাঠাতে চায় নাসা।
জ্বালানি হিসেবে মহাকাশযানে তরল অক্সিজেন ভরে পাঠানোর ব্যবস্থাই বর্তমানে চালু রয়েছে। এ ছাড়া বড় মহাকাশযানগুলো ব্যবহার করে সৌরশক্তি। এখন অন্যভাবে চিন্তা করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছে পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরির এক বিজ্ঞানী। তারমতে, প্রথম দিকে কিউবস্যাটগুলোকে পৃথিবীর কাছের এবং পরে ধাপে ধাপে এগুলোকে আরও দূরের কক্ষপথগুলোতে পাঠানো হবে। নতুন মহাকাশযান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে নাসার ‘ট্রান্সপোর্টার-১’ মিশনে স্পেস-এক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের পিঠে চেপে মহাকাশে পাড়ি জমাবে। তরল অক্সিজেন বা হাইড্রোজেনের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে মহাকাশযানে পানি ব্যবহার করায় বিপুল খরচের বোঝা হালকা হয়ে যাবে। এ প্রযুক্তিকে বলে ‘হাইড্রস হার্ডওয়্যার’, যা মহাকাশে পানিকে ভেঙে তৈরি করবে জ্বালানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস।