নিজের প্রতিষ্ঠিত পীস টিভির মাধ্যমে বিভ্রান্তকর বক্তব্যে বহুল আলোচিত-সমালোচিত হওয়ার পর সর্বশেষ ঢাকার গুলশান হামলাকারীদের দুজন তার অনুসারি অভিযোগে তদন্তে আসেন জাকির নায়েক। তদন্ত কিছু অগ্রসর হওয়ার পর প্রথমে ভারতে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয় পীস টিভি। ভারতে তার প্রবেশ ও অনুষ্ঠান কার্যক্রমও নিষিদ্ধ হয়। তাই আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ আফ্রিকায় থাকবেন বলেও তার সহযোগীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ভারত সরকার খতিয়ে দেখছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসার প্রেক্ষাপটে দেশে ফিরে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সোমবার মুম্বাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা বলেছিলেন জাকির নায়েক।
পরে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক স্কাইপে কনফারেন্স করবেন বলে জানান তিনি। তবে সেটিও তিনি বাতিল করেছেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়।
তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসে থেকে সোমবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতি পাঠিয়ে জাকির নায়েক বলছেন- তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এ পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
“ভারতের তদন্তকারী সংস্থার কোনো কর্মকর্তাকে তাদের প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারলে আমি আনন্দিত বোধ করব,” বিবৃতিতে বলে তিনি।
গত বছর উসকানিমূলক কথাবার্তা বলার অভিযোগে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়৷ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডুও তার বিষয়ে তদন্তের কথা একদিন আগেই বলেন।
ঢাকার গুলশানে গত ১ জুলাইয়ের জঙ্গি হামলায় জড়িতদের মধ্যে অন্তত দুজন জাকির নায়েকের মতো ইসলামি বক্তাদের অনুসরণ করত বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপরই নতুন করে আলোচনায় আসেন ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া চিকিৎসক জাকির নায়েক।
উগ্রপন্থায় উৎসাহ জোগানোর অভিযোগে সোমবার বাংলাদেশে জাকির নায়েক প্রতিষ্ঠিত পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করেছে সরকার।