টেস্টিং সল্ট না, ‘বিষ’!

ডেস্ক: রেস্টুরেন্টের খাবার মানেই অনেক সুস্বাদু, অনেক মজাদার। সেখানে গিয়ে খাবার সামনে নিয়ে ছবি তোলা আর ফেসবুকে পোস্ট করা থেকে শুরু করে উদরপূর্তি সব বেশ আনন্দের সঙ্গেই আমরা করি। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখি যা খাচ্ছি, তা কতটুকু স্বাস্থ্যকর?

রেস্টুরেন্টগুলোতে পরিবেশিত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজি নামের রাসায়নিক উপাদান। অনেকে ঘরোয়াভাবে তৈরি খাবারেও এটি ব্যবহার করেন। এই সাদা স্ফটিক গুঁড়া দেখতে অনেকটা লবণ ও চিনির মতো, যার আরেক নাম টেস্টিং সল্ট। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উপাদানটি বেশ বিষাক্ত, আর স্নায়ুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

বিশেষ করে বাজারে বিক্রি হওয়া পটেটো চিপ, প্যাকটেজাত স্যুপ, ক্যানজাতকরণ খাবারে মাত্রাতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিবিজ্ঞানী পূজা মলহোত্রার মতে, টেস্টিং সল্ট ব্যবহৃত হয় এমন তালিকাভূক্ত খাবার আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। তার মতে, রাসায়নিক পর্দাথ ব্যবহার হয় এমন ঘরোয়াভাবে তৈরি খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
পূজা মালহোত্রার বরাত দিয়ে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

আসুন জেনে নিই ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সম্পর্কে—
১. গবেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী ২ লাখ টনেরও বেশি সোডিয়াম গ্লুটামেট ব্যবহৃত হয়। টেস্টিং সল্টের অতিরিক্ত ব্যবহারে মাইগ্রেন, মাথা ঘোরা, হরমোনীয় ভারসাম্যহীনতা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, বুকের ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
২. সোডিয়াম গ্লুটামেট খাদ্যের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের ওজন বৃদ্ধি এবং অবসাদগ্রস্থ করে তোলে।
৩. এটি আমাদের অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণে আসক্ত করে তোলে। সোডিয়াম গ্লুটামেটের মস্তিষ্কে কোষের উপর এমনভাবে প্রভাব ফেলে যে যখন আমরা ক্ষুধার্ত থাকি তখন যেসব খাবার পছন্দ না সেগুলোও খেয়ে ফেলি।
৪. দীর্ঘমেয়াদী টেস্টিং সল্টের প্রভাব থেকে স্থূলতা এবং অন্যান্য বিপাকীয় রোগ হতে পরে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট ব্যবহারে ডায়াবেটিসের হার বেড়ে যায়।
৫. সোডিয়াম গ্লুটামেট ব্যবহারে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
৬. অন্যান্য ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যাথা, অতিরিক্ত ছটফটানি ভাব, হাঠৎ ক্ষেপে যাওয়া ও দুর্বলতা।