‘ইসলামী শিক্ষার অভাবেই সন্ত্রাসবাদের উত্থান’

ডেস্ক: ইসলামি শিক্ষার অভাবেই সন্ত্রাসের উত্থান হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন ইসলামী চিন্তাবিদগণ। তারা মনে করেন, সমাজ আজকে নীতি-নৈতিকতাহীন, বস্তুতান্ত্রিক সফলতার চিন্তায় বিভোর। মানুষ বল্গাহীন দুর্নীতি, হত্যা, পাপাচার এবং দুরাচারে লিপ্ত হচ্ছে। শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতাকে লুণ্ঠনের অধিকার মনে করছে। রাজনীতিকে সেবা নয় বরং শোষণের হাতিয়ার বানিয়েছে। জাতি ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ছুটে চলছে। এই ধরণের সংকট মোকাবেলার জন্য বাংলার যুব সমাজকে জেগে উঠতে হবে। জাতির হাজার বছরের মুক্তির স্বপ্ন যুবকদের কাঁধে অর্পিত হয়। যুবসমাজকে সুষ্ঠু পথে পরিচালিত করা গেলেই দেশ সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে। তাই তরুণ ও যুব সমাজকে রক্ষাসহ ইসলামী শিক্ষার জ্ঞানে শিক্ষিত এবং তাদের সুষ্ঠ পথে পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।

তারা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিস্তার রোধে অবিলম্বে ধর্মহীন শিক্ষানীতি ও পরিবর্তিত শিক্ষা আইন ২০১৬ অবিলম্বে বাতিল করে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামিক প্রস্তাবিত স্কলারদের সাথে নিয়ে এগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্ত্রাসবাদ বন্ধে, সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উস্কানিদাতা এবং অর্থদাতাদের চিহ্নিত করে ওদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্ত্রাস বিরোধী শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষা করতে হবে।

এদেশের মুসলিম যুবকরা জ্ঞানের অভাবে এবং পশ্চিমা অপপ্রচারের কারণে ইসলামকে বাদ দিয়ে একদিকে কুফরী গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে। অপরদিকে ভ্রান্তমতবাদে আকৃষ্ট হয়ে সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে মিথ্যা আশায়। এ পথ থেকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তারা আরো বলেছেন, দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন করার মত দুঃসাহস সরকার দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অন্যতম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। এদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে ইসলাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ইসলামে মূর্তি কিংবা যেকোন প্রাণির ভাস্কর্য নিষিদ্ধ। কিন্তু এদেশের হাতে গোনা কয়েকটি নাস্তিকের চক্রান্তে ইসলাম ও দেশ বিরোধী এই চক্রান্ত কোনোভাবেই সহ্য করা হবেনা। এখনো সময় আছে সরকারকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণ করতেই হবে।- আল ইহসান