বাবুলকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দিলেন তার শশুরপক্ষ
ঢাকা: পুলিশের অত্যন্ত সৎ ও চৌকস কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে খুনের সাথে জড়িয়ে কিছু গণমাধ্যম যে সন্দেহের বেড়াজাল সৃষ্টি করেছে তার জবাব দিলেন বাবুলের শ্বশুরপক্ষ।
কিছু সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করেছে বাবুল আক্তার নিজেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তবে স্ত্রীকে সরিয়ে দিলে বাবুলের কী লাভ হবে সে বিষয়টিও পরিষ্কার করতে পারেনি তারা। তদন্তের কোন পর্যায় থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে—এ প্রশ্নের উত্তরও মিলছে না।
বাবুলের স্ত্রী মিতুর বাবা সাবেক ওসি মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না বাবুল আমার মেয়ে হত্যায় জড়িত। ১২ বছর আমার মেয়ের সঙ্গে বাবুলের ঘরসংসার। বাবুলকে ছাড়া মিতু ১২ দিনও আমার বাসায় একা থাকেনি। তাদের মাঝে কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যা হলে সেটা আমরা অবশ্যই জানতাম।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুলের শ্যালিকা বলেন, ‘আমরা কী করে বিশ্বাস করি আপার সঙ্গে দুলাভাইয়ের সম্পর্ক খারাপ ছিল। কোনো দিনও শুনিনি। আর যদি আমরা বিশ্বাসই করতাম যে দুলাভাই আমার আপাকে খুন করেছে তাহলে কি আমরা তাকে এখানে আশ্রয় দিতাম? রেঁধে-বেড়ে খাওয়াতাম?’
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন দৃঢ়তার সঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশের চাকরিতে শুধু ভালো কাজ করলে চলে না, পাশাপাশি পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে পা ফেলতে হয়। বাবুল কখনও ব্যাক গিয়ারে পা ফেলেনি। এটাই তার জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। তাই এত কথা হচ্ছে। এখন সে বন্ধুহীন, এখন সে বিপদে আছে।
তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, হয়তো সময় পেরোলে অনেক কথা বলা যাবে, অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।’
বাবুল আক্তার কেন গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় আসার ঠিক আগে বাবুল ফোন করে আমাদের জানায়, সে রিলিজড। তবে এসব বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। মিতু হত্যার পর বাবুলকে পুলিশ সদর দপ্তর আবার চট্টগ্রামে যাওয়ার প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় সে রাজি হয়নি। আর এখন তো সব পরিস্থিতিই যেন বদলে যাচ্ছে। মিতুর কবরস্থানেও পুলিশ পাহারায় ছিল। কয়েক দিন আগে তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’