সিজারিয়ান ডেলিভারির পর কর্মদক্ষতা হারাচ্ছেন নারীরা

ঢাকা: সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অধিক রক্তক্ষরণ, ক্ষতস্থানে ইনফেকশনসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন অনেকেই। শারীরিক নানা সমস্যার কারণে কর্মদক্ষতাও হারাচ্ছেন কেউ কেউ। তাই সন্তান প্রসবের বিকল্প পদ্ধতিতে  (নরমাল ডেলিভারি) করানোর ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরো মানবিক ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
কোনরকম জটিলতা ছাড়াই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পরপর তিনটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারী। কিন্তু সর্বকনিষ্ঠ সন্তানটি সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেয়ার পরই বাধে বিপত্তি। অপারেশনের জায়গায় ইনফেকশন হয়ে তাকে প্রায় এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।

শুধু তাই নয় সন্তানটির দুই বছর হতে চললেও আগের মত সংসারের দৈনন্দিন কাজ করতে এখনো সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। সিজারিয়ান ডেলিভারির পর নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক নারীকেই।সিনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, সন্তান প্রসবে জটিলতা না থাকলে সিজারিয়ান করা কোন ভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।

সিজারিয়ান করানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই উপযুক্ত কারণ দেখানো চিকিৎসকের দায়িত্ব উল্লেখ করে রোগীর স্বজনদেরও তাড়াহুড়ো করে ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী নারীর নানা জটিলতার কারণে ১৫ শতাংশ জন্মে সিজার ডেলিভারির প্রয়োজন হয়। সংস্থাটি আরো বলছে, প্রসবকালীন জটিলতায় মা এবং সন্তানের জীবন বিপন্ন হবার আশংকা থাকলেই কেবল সিজার করা যাবে। তাই চিকিৎসকদের আরো মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ সকলে।