রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণ রাশিয়ার
ঢাকা: বহুল আলোচিত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা ( ১১.৪ বিলিয়ন ডলার) ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাশিয়া সরকার এক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর : রাশিয়ান নিউজ এজেন্সি তাস
পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা (১,২৬৫ কোটি ডলার)। রাশিয়ার ঋণ ছাড়া অবশিষ্ট অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে ২৭ জুন রূপপুরে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার কাছ থেকে ঋণ নিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণচুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয় সরকার।
ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে ১,১৩৮ কোটি ডলারের এই ঋণ সরবরাহ করা হবে। প্রস্তাবিত অর্থায়ন শুরুর পর থেকে ১০ বছর থাকবে গ্রেস পিরিয়ড। এর পর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পুরো ঋণ শোধ করতে হবে।
মূল ঋণের প্রথম কিস্তি ২০২৭ সালের ১৫ মার্চ থেকে দেওয়া শুরু হবে, সুদের হার হবে অনূর্ধ্ব ৪ শতাংশ। প্রতি বছরের ১৫ মার্চ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সমপরিমাণ কিস্তিতে বাংলাদেশ সরকারকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে, গত ২৭ জুন মন্ত্রিসভার ১১৩তম বৈঠকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার কাছ থেকে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা এক লাখ এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিতে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণচুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়।
গত ১৯ মে মস্কোতে বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সভার পর মিনিটস ও ডিসকাশন স্বাক্ষর হয়। তার আলোকেই চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে।
পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর চুক্তি হয় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের।
ওই সময় বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র কামরুল ইসলাম ভুইয়া রয়টার্সকে বলেছিলেন রূপপুরের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করবে রাশিয়া। উৎপাদনে যাওয়ার প্রথম বছর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধানে থাকবেন রোসাতমের প্রকৌশলীরা। তবে পরের বছর থেকে এর দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
রুশ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের নকশায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত ‘সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি’ দিয়ে রূপপুরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এর নিরাপত্তা নিয়ে ‘দুশ্চিন্তার কিছু’ থাকবে না। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রাশিয়াই ফেরত নিয়ে যাবে।