আর কমছে না চালের দাম

ঢাকা: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মন্ত্রীদের বৈঠক এবং গুদামে প্রশাসনের অভিযানের পর চড়তে থাকা চালের দাম কিছুটা কমলেও এখনও তা বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের চাপে চালের দাম একধাপ কমিয়ে থেমে গেছেন দেশীয় মিল মালিকরা।

খুচরায় চালের সর্বশেষ এই মূল্য জানিয়ে রাজধানীর রামপুরার বিক্রমপুর রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে মিল মালিকরা প্রথম ধাপে চালের দাম বস্তায় দেড়শ টাকার মতো কমিয়েছেলেন। পরের সপ্তাহে কমেছে আরও। এরপর চালের দাম আর কমেনি।

উত্তর বাড্ডায় পাইকারি দোকান সাতারকুল রাইস এজেন্সির অন্যতম ব্যবস্থাপক বিপ্লব হোসেন বলেন, গত মাসের শেষ দিকে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা করে কমেছে। বিশেষ করে মিনিকেটের দাম কমেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দাম স্থির আছে।

কোরবানির ঈদের পর কয়েক দিনে চালের দাম বাড়ে অস্বাভাবিকভাবে। সরু চালের দাম খুচরায় কেজিপ্রতি ৭০টাকা পর্যন্ত ওঠে, সমানতালে বাড়তে থাকে মোটা চালের দামও।

এই প্রেক্ষাপটে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে চালকল মালিক, আমদানিকারক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দাবি সরকার মেনে নিলে মিল মালিকরা চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দেন। পাশাপাশি ভারত থেকে চাল আমদানির শর্ত শিথিল হওয়ায় আমদানিও শুরু হয়।
এ সময় কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে চালকল ও গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে। দীর্ঘদিন ধরে চাল গুদামে রাখায় অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানার পাশাপাশি হাজার হাজার বস্তা চাল জব্দ করা হয়।

মজুদ তলানীতে ঠেকে যাওয়ার পর এখন চাল আমদানি বাড়াচ্ছে সরকার; চাল আসছে ভারত থেকেও
এরপর সেপ্টেম্বরের শেষদিকে চালের দাম কিছুটা কমান মিলমালিকরা।
রোপা আমন ওঠার আগে আর চালের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন না নওগাঁ জেলার মৌসুমী অটো রাইস মিলের মালিক গোলাম মোস্তফা।