রাখাইনে অবশিষ্ট আছে মাত্র লাখখানেক রোহিঙ্গা

ডেস্ক: সর্বশেষ হিসেবে গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমারের আরাকান বা রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সংখ্যা রয়েছে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার। দেশটির বাইরে সর্বাধিক রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৩১ হাজার। বেসরকারি হিসেবে এ সংখা ৮ লক্ষাধিক। এছাড়া রাখাইনের বাইরে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আরো ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান। আল-জাজিরা
বাংলাদেশের পর পাকিস্তানে রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ রোহিঙ্গা। এছাড়া সঊদি আরবে ২ লাখ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ হাজার, ভারতে ৪০ হাজার, থাইল্যান্ডে ৫ হাজার, মালয়েশিয়ায় দেড় লাখ ও ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী উগ্র বৌদ্ধ ও সুচি সরকারের হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে গণধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর পালিয়ে আশ্রয় নিয়ে।
গত কয়েক দশক ধরে ঠান্ডা মাথায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার ও সুচি সরকারের সুপরিকল্পিতভাবে নীরব ‘জেনোসাইডের’ অন্তরালে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছে, পালিয়ে বাঁচার সময় সাগরে ডুবে মারা গেছে। সুচি সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই ভোটাধিকার ও নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের রাষ্ট্রবিহীন জাতিতে পরিণত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের আরাকান বা রাখাইন অঞ্চলটি ৩৯৮ মাইল লম্বা ও চওড়া ৬৫ থেকে ৩০ মাইল চওড়া। এ অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্ম াবলম্বীদের সংখ্যা ১৫ লাখ। গত দেড় হাজার বছর ধরে আরাকান মুসলমানরা শান্তিপূর্ণভাবে বাস করে আসলেও গত পঞ্চাশের দশক থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিধন ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশটির নাম বার্মা থেকে মিয়ানমার, আরাকান অঞ্চল থেকে রাখাইন অঞ্চলে রুপান্তরিত হয়েছে। রাখাইন অঞ্চলের রাজধানী সিতুই’এ ৫ বছর আগে ১ লাখ ৮০ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা থাকলেও এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ হাজারে। এবং এ ৩ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান কাঁটাতারের বেষ্টনীর ভেতরে সেনাদের প্রহরায় বন্দী জীবন যাপন করছে।